ঝিনাইদহ প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
দুর্ঘটনা রোধে কয়েক কোটি টাকা ব্যায় প্রশস্থ করা হয় ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের চুটলিয়া বাঁকটি। রাস্তার দুই ধার বাড়িয়ে অনেকটা সোজা করা হয় রাস্তা। কিন্তু পুরো রাস্তা দখল করে রেখেছে ট্রাক। প্রথমে দেখলে মনে হবে এটি হয়তো ট্রাক টার্মিনাল। কিন্তু না। ট্রাকগুলো ইচ্ছামতো রাস্তার উপর রেখে ড্রাইভাররা বিশ্রাম নেন। খান হোটেলের খাবার। দীর্ঘক্ষন রাস্তার উপর ট্রাক রেখে এই যাত্রাবিরতী কাল হয়ে দেখা দিচ্ছে। রাস্তার উপর ট্রাক পার্কিং করার কারণে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়িগুলো দেখা যাচ্ছে না। ফলে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। অনেক সময় অবৈধ ভাবে পার্কিং করা ট্রাকে পাশে দাড়িয়ে ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় বলে পথচারীদের অভিযোগ।তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহের সাবেক ডিসি শফিকুল ইসলামের সময় জেলা সমন্বয় কমিটির সভায় এই সড়টি প্রশস্থ ও বিপজ্জনক বাঁকটি সোজা করার প্রস্তাব করেন ঝিনাইদহ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডাঃ জাহিদ আহম্মেদ। সভায় প্রস্তাবটি গ্রহন করে তৎকালীন সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম অপু উদ্যোগ গ্রহন করেন। ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগ চুটলিয়ার বিপজ্জনক বাঁকটি প্রশস্থ করে তৈরী করেন দৃষ্টি নন্দন রাস্তা। কিন্তু নির্মানের পর পরই হাইয়ে দিয়ে চলাচলকৃত ট্রাকগুলো সেখানে থামিয়ে দীর্ঘক্ষন ধরে জটলা সৃষ্টি করা হয়। যে উদ্দেশ্যে সড়কটি প্রশস্থ করা হয়েছিল তা কার্যত ব্যাহত হচ্ছে বলে অবিযোগ করেন নিয়মিত ওই সড়কে চলাচলকারী সরকারী কর্মকর্তাগন।তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন দ্রত এই যানজট উচ্ছেদ না করলে বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর সালাহউদ্দীন জানান, করোনাকালে ওই সড়কে কম যাওয়া হচ্ছে। এর আগে আমরা বহু যানবাহনকে জরিমানা করেছি। ড্রাইভারদের সতর্ক করেছি। তিনি বলেন এখন তো কঠোর লকডাউন চলছে। কৃষি ও পচনশীল পরিবহনকে সহায়তার জন্য সরকারী ভাবে বলা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা জোরসোরে অভিযান শুরু করবো।
১ view