সেলিম রেজা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
একদিকে করোনার প্রভাবে কাজ নেই অন্যদিকে নদী ভাঙনে সম্পদ হারিয়ে দিশেহারা মানুষজন। যেখানে পরিবারে খাদ্যের যোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সেখানে আবার মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজতে হচ্ছে। এ যেন মরার ওপর খাড়ার ঘা। ভাঙন রোধে সরকারের হস্তক্ষেপ চান নদ-নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা,চোখের সামনে কৃষকের একমাত্র সম্বল আবাদী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আর তা চেয়ে চেয়ে দেখতে হচ্ছে অসহায় কৃষককে। সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ও উমারপুর ইউনিয়নে এমন দৃশ্য এখন নৈমিত্তিক ঘটনা।যমুনার নদীর ভাঙনে শত শত বাড়িঘর, মসজিদ, বিদ্যালয়, হাটবাজারসহ বিস্তীর্ণ জনপদ হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ দেখার কেউ যেন নেই। এ জনপদকে রক্ষার ব্যাপারে নেই কারো কোনো উদ্যোগ,এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।গত কয়েক বছর ধরে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনার সর্বনাশা নদীর অব্যাহত ভাঙনে নদী পারের শত শত ঘরবাড়ী বিলীন হয়ে গেছে। মাথা গুজার ঠাই হারিয়ে এসব লোকজন অনত্র বসবাস করছেন। নদী ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলেও ভাঙ্গন রোধে কোন উদ্যোগ নেই জন প্রতিনিধিদের,সরেজমিন বাঘুটিয়া ইউনিয়নের গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিনিয়ত এই এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি নদীর গর্ভে বিলিন হচ্ছে। এ নিয়ে অতীতে সংবাদমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও সমস্যা সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে।খোজঁ নিয়ে জানা যায় , উপজেলার যমুনা নদীর ভাঙনে খাষপুকুরিয়া, , উমারপুর , চরসলিমাদ , ভুতের মোড় ও বাঘুটিয়া ইউনিয়নের একাংশ রয়েছে হুমকির মুখে। একের পর নদী পাড়ের ঘরবাড়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেশ কয়েকটি হাট-বাজারসহ অনেক স্থাপনা ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে,ইতিমধ্যে চৌহালীর অঞ্চলের অন্যতম দেওয়ানগন্জ বাজার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও রয়েছে নদী ভাঙন ঝুঁকিতে। মিটুয়ানি উচ্চ বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ইতিমধ্যে নদীগর্ভে চলে গেছে। রেহাইপুকুরিয়া দেওয়ান গন্জ , ভুতের মোড় রাস্তার বেশ কয়েকটি স্থানে নদীর ভাঙনে নদীগর্ভে চলে গেছে। এতে করে এসব এলাকার লোকজনদের বিকল্প রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে,চর সলিমাবাদ গ্রামের নুরুল ইসলাম নূহু জানান, একের পর যমুনা নদীর ভাঙনে শত শত ঘরবাড়ী এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় বসবাস করছে। আরো বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ও স্থাপনা রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে।জনপ্রতিনিধিদের বারবার অবগত করলেও কোন কাজ হচ্ছে না,বাঘুটিয়া গ্রামের শাহ আলম জানান, যমুনা নদী ধীরে ধীরে বাঘুটিয়া ইউনিয়ন খেয়ে ফেলছে। এভাবে নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে এ ইউনিয়নের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে,দত্তকান্দি গ্রামের ছানোয়ার প্রামানিক জানান, এসব এলাকার নদী ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে ব্লক স্থাপন করতে হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন ভাঙন রোধে প্রকল্প করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৫ views