অনলাইন @ লটকন খেতে সুস্বাদু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলায় কদর বেড়েছে। ২০০৮ সাল থেকে দেশের চাহিদা মিটিয়ে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হয় নরসিংদীর লটকন। মৌসুমী এ ফলের বেচাকেনাকে ঘিরে জেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রায়পুরার মরজাল ও শিবপুর উপজেলা সদরে বসছে লটকনের বাজার। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকারি ক্রেতারা এসে এসব বাজার থেকে লটকন কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পর্যায়ক্রমে হাত বদল হয়ে রাজধানী ঢাকা থেকে এসব লটকন রফতানি হচ্ছে বিদেশের বাজারেও। অনেকে সরাসরি জমি থেকে লটকন কিনে সরবরাহ করছেন দেশ-বিদেশের বাজারে।
বেলাব উপজেলার লাখপুর গ্রামের নাজমুল হক বলেন, ‘কম খরচে লাভজনক ফসলের মধ্যে অন্যতম লটকন। এই ফলের বাগান শুরু করতে প্রথমে খরচ বেশি পড়লেও পরবর্তীতে বিঘাপ্রতি ১০ হাজার টাকার বেশি খরচ হয় না। সে তুলনায় লাভ বেশি হয়।’
একই গ্রামের লটকন চাষি রাসেল মিয়া বলেন, ‘স্থানীয় বাজার ছাড়াও লটকন গাছে ধরার পর জমিতেই পাইকারি বিক্রি করে দেওয়া যায়। পাইকাররা বাগান কিনে দেশে বিদেশের বাজারে লটকন পাঠিয়ে থাকেন।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর নরসিংদীর উপ-পরিচালক শোভন কুমার ধর বলেন, ‘লটকন চাষ বৃদ্ধিতে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চারা উৎপাদন করাসহ কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশের বাজারে রফতানি হওয়ায় লটকনের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন কৃষকরা।’
তিনি জানান, চলতি মৌসুমে ১৫৮০ হেক্টর জমিতে লটকনের আবাদ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ১৫ মেট্রিক টন ফলন হিসাবে লটকনের মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন। পাইকারি ৭০ টাকা কেজি দরে যার বিক্রয় মূল্য দাঁড়াবে ১৬৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা।