ঝন্টু কেশবপুর যশোর প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
যশোরের কেশবপুর থানায় মায়ের বিরুদ্ধে সন্তান আবু রায়হান অভিযোগ করেছে। মা রওশনারা বেগম (৩৮) সন্তানকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় সন্তান বাড়িতে তালা দিয়ে চাচার বাড়িতে থাকে। সে এখন নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে।বৃহস্পতিবার কেশবপুর থানায় অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে কেশবপুর উপজেলার ছোট পাথরা গ্রামের মৃত ইমদাদুল হকের পুত্র আবু রায়হান (২০)। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তার মাতা রওশনারা বেগমের পরকীয়া প্রেমের শিকার হলে সংসারে অশান্তি শুরু হয়।এক পর্যায় ২০১৬ সালের জুলাই মাসের ৩০ তারিখে মা রওশনারা পরিকল্পিতভাবে খাবারে বিষ দিয়ে পিতাকে হত্যা করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। পিতার মৃত্যুর কিছুদিন পরেই মা তার প্রেমিক কেশবপুর উপজেলার সন্ন্যাসগাছা গ্রামের আঃ রহিমের পুত্র মনিরুল ইসলাম (৪৫) কে বিয়ে করে চলে যায় এবং বিভিন্ন সময়ে আবু রায়হানের মা একাধিক নাম্বার দিয়ে ফোন করে তার পিতার বসত ভিটা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে। তাতে সে রাজী না থাকায় সন্তানকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন।আবু রায়হানেরা দুই ভাই বোন। ইতোমধ্যে মা তার বোনের পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্য অংশ হতে সাড়ে ১১ শতক জমি দলিল করে নেয়। দলিলের মধ্যে বসতভিটার অংশ না থাকলেও ঐ দলিল বুনিয়াদে সন্তান আবু রায়হানকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে মা দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। এমনকি গত ৫ জুলাই বিকালে রওশনারা ও বর্তমান স্বামী মনিরুল ইসলামসহ একদল ভাড়াটিয়া গুন্ডা নিয়ে তাদের বাড়িতে অনধিকার বলে প্রবেশ করে বাড়িঘর ভাংচুর করতে থাকে।সন্তান তার চাচাদের সহযোগিতায় বাঁধা দিলে তারা আবারও সন্তানকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। আবু রায়হান একা হওয়ায় প্রাণের ভয়ে বসতবাড়িতে তালা দিয়ে তাঁর আপন চাচা সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আহসান উল্লাহর বাড়িতে থাকে। আবু রায়হানের পিতারা ৭ ভাই। ৬ চাচা ও প্রতিবেশিদের নিয়ে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যার্থহয়ে নেয্য বিচারের আশায় ১৫ জুলাই থানায় অভিযোগ করেছে।আবু রায়হানের চাচা সাইফুল্লাহ বলেন তাঁর ভাবি খারাপ মহিলা, ফুলের মতো দুটি’ সন্তান থাকতে ভাইকে হত্যা করে প্রেমিকাকে বিয়ে করেছেন। আর এখন মেয়ে সুমায়া সুলতানা (১৮) কে বিয়ে দিয়ে, সন্তানকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।এব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আবু রায়হানের একটি অভিযোগ পেয়েছি যা খুব হৃদয় বিদারক। একজন পুলিশ অফিসারকে অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন।হাতে পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
১৩ views