প্রথম ম্যাচ ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে আর দ্বিতীয়টি জিতে হইচই ফেলে দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। তবে ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। শেষ ম্যাচে সহজ জয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে প্রোটিয়ারা। যেখানে বড় অবদান দুই ওপেনার জানেমান মালান ও কুইন্টন ডি ককের।
ডাবলিনের মালাহিডের দ্য ভিলেজে জানেমান ও ডি ককের সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ৩৪৬ রানের সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে সিমি সিংয়ের সেঞ্চুরির পর ১৭ বল আগেই ২৭৬ রানে অলআউট হয়েছে আইরিশরা। দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৭০ রানের ব্যবধানে।
আগে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ২২৫ রান যোগ করেন ডি কক ও জানেমান। ইনিংসের ৩৭তম ওভারের প্রথম বলে আউট হওয়ার আগে ক্যারিয়ারের ১৬তম সেঞ্চুরিতে মাত্র ৯১ বলে ১২০ রান করেন ডি কক। যেখানে ছিল ১১ চার ও ৫টি ছয়ের মার।
ডি কক সাজঘরে ফিরলেও একদম শেষপর্যন্ত খেলে গেছেন জানেমান। দলকে ৩৪৬ রানে পৌঁছে দিয়ে অপরাজিত থেকেই ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ১৬৯ বলে ১৬ চার ও ৬ চারের মারে ১৭৭ রান করেছেন এ ডানহাতি ওপেনার। এছাড়া ২৮ বলে ৩০ রান করেছেন রসি ফন ডার ডুসেন।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই পেছাতে থাকে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড। টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাত্র ৯২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। সেখান থেকে প্রতিরোধ গড়েন কার্টিস ক্যাম্পার ও সিমি সিং। দুজন মিলে সপ্তম উইকেটে যোগ করেন ১০৪ রান। যা কি না সপ্তম উইকেটে তাদের সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড।
দলীয় সংগ্রহ ২০০ পেরুনোর ঠিক আগে ৫৪ বলে ৫৪ রান করে আউট হন ক্যাম্পার। তবে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করা সিমি সিং শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৯১ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলে। যেখানে ছিল ১৪টি চারের মার। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৮ নম্বর বা তার নিচে নেমে সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যাটসম্যান সিমি সিং।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে বল হাতে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন আন্দিল ফেলুকায়ো ও তাবরাইজ শামসি। অভিষিক্ত পেসার লিজাড উইলিয়ামস নেন ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই উইকেট। বিশ্বের ২৭তম ও দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় বোলার হিসেবে এ কীর্তি গড়লেন তিনি।