জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মিথ্যা নারী নির্যাতনের মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের বিবি মরিয়ম (৪৫) নামে জনৈক নারী। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার দুপুরে ১২ নম্বর কুতুবপুর ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর গ্রামের মফজল মিয়ার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ওই বাড়ির মো. ইউছুফ খোকনের স্ত্রী।
পরে তাকে নোয়াখালী আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান সিকদার।
খবর নিয়ে জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বিবি মরিয়ম তার স্বামীর ফুফাতো ভাই, তার ছেলে-মেয়ে ও ছেলের স্ত্রীদের বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছেন।
২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর সেনবাগ থানায় নারী নির্যাতনের একটি মামলা দায়েরের চেষ্টা করেন তিনি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তা গ্রহণ করেননি অফিসার ইনচার্জ। পরবর্তীতে বিবি মরিয়ম তার ছেলেকে দিয়ে নোয়াখালীর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নম্বর আমলী আদালতে পিটিশন মামলা (নম্বর ৫৯২) দায়ের করান।
আদালত ওই মামলাটি নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে পিবিআই বাদীর অভিযোগ সত্য নয় বলে আদালতকে অবহিত করে প্রতিবেদন দাখিল করে।
এরপর ২০১৮ সালের ২৭ জুন বেগমগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন মরিয়ম। ওই মামলায় পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলে আদালত আসামিদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
এরপর বিবি মরিয়ম নোয়াখালী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরেকটি পিটিশন মামলা (নম্বর ৮৫) দায়ের করলে আদালত তা খারিজ করে দেন। পরে তিনি তার ছেলে তানভিরকে দিয়ে গত ১ জুলাই আরেকটি মামলা দিলে আসামিরা ওই মামলাতেও জামিন পান।
এদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল ১ম এর মামলাটি বাতিল হওয়ায় মামলার হয়রানিতে জর্জরিত ভুক্তভোগী পরিবার ১৭ ধারায় বাদীর বিরুদ্ধে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বিবি মরিয়মের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।