শেখ তোফাজ্জেল হোসেন খুলনা সিটি প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে মোংলা বন্দরসহ তৎসংলগ্ন উপকুলীয় এলাকায় গত ৩দিন ধরে আকাশ মেঘাছন্ন এবং মুষলধারে বৃস্টি। পুরো উপকুলীয়সহ বন্দর এলাকায় কখোনও ভারি আবার থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মঙ্গলবার ২৭ জুলাই থেকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত একটানা বৃষ্টির কারনে মানুষ ঘর থেকে নামতে পারেনি। বন্দরে অবস্থানরত দেশী-বিদেশী ৯টি বানিজ্যিক জাহাজের পন্য উঠা-নামার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। গত ২৬ জুলাই রাত থেকে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। বেড়ে যায় বাতাসের গতিবেগ, চলতে থাকে দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়া। মোংলায় গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি। থেমে থেমে বৃষ্টিতে এ এলাকার জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়ে। বৈরী আবহাওয়া, প্রচন্ড বাতাস ও বৃস্টির ফলে কাবু হয়ে পড়ে মোংলা বন্দর নগরী খেটে খওয়া নিম্ন আয়ের মানুষরা। বৃষ্টির মৌসুম যেতে না যেতেই শুরু হয়েছে সাগরে নিম্নচাপ, তা থেকে সৃষ্টি হয় দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়া। ফলে টানা দিন-রাত মুষলধারে আবার থেমে থেমে বৃষ্টিপাত। এটি শুক্রবার পর্যন্ত অব্যহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। মঙ্গল ও বুধবার থেকে দেশের দনিাঞ্চলের প্রায় বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। হঠাৎ তাপমাত্রাও নেমে গিয়ে মোংলাসহ এ অঞ্চলে আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে ভারতের দক্ষিন-দক্ষিন-পশ্চিম আন্দামানে একটি স্বু-স্পষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে যা ঘুর্নিঝড়ে রুপ না নিলেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃস্টিপাত হবে। বাংলাদেশের উপকুলীয় অঞ্চলে ঘুর্নিঝড়ের মতো কোন আঘাত হানবেনা তবে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করবে। যে কদিন লঘুচাপের প্রভাব থাকবে, আবহাওয়াও মোটামুটি এ রকমই বয়েযাবে। তবে এর সম্ভাবনা দু’এক দিনের মধ্যে তা স্বাবাবিক হবে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস। দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়া আর বৃষ্টির কারনে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বন্দরের বানিজ্যিক জাহাজের সাথে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক সাধারণ কর্মজিবী ও অফিসগামী মানুষদের। ভারী বৃস্টির ফলে তলিয়ে রয়েছে মোংলা-খুলনা মহা সড়কসহ উপজেলার সকল রাস্তাঘাট।গতকাল দুপুর ২টার দিকে আবহাওয়া দপ্তর সূত্র জানায়, গত সোমবার রাত থেকে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের প্রভাবে কিছু মেঘমালা বাংলাদেশের দিকে এসেছিল। যার কারনে মোংলা বন্দরের জন্যর ৩ নম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেত বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি লঘুপাপে পরিনত হয়েছে, ২/১ দিনের মধ্যে কেটে যাবে।আজকের দিন পর থেকে আকাশ একটু মেঘাছন্ন থাকলেও ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানান ঢাকা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক। গত ৩দিন বৃষ্টি কারনে রাস্তাঘাটে যানবাহনও ছিল কম।মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন জানায়, সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে ৩ নাম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেত ফলে গত তিন দিন যাবত অতি বৃস্টিপাত হচ্ছে বন্দর জুড়ে। এতে বন্দরে অবস্থানরত বানিজ্যিক জাহাজের পন্য খালাস-বোঝাই কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে সার ও খাদ্যবাহী পন্যের। তবে অন্যান্য জাহাজের কার্যক্রম চলছে স্বাভাবিক গতিতে। বৃস্টি কমলে বন্দরের সকল জাহাজের পন্য খালাস-বোঝাইয়ে আর কোন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না বলে জানায় বন্দরের হারবার বিভাগ।