জেমস আব্দুর রহিম রানা, স্টাফ রিপোর্টার :
সভাপতির স্বজন প্রীতি ও আত্মীয়করনের অভিযোগের মধ্য দিয়ে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (৩০ জুলাই) ১৯ জন উপদেষ্টাসহ ৯৪ সদস্যের এই কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তরুণ ও সাবেক ছাত্রনেতা জায়গা করে নিলেও বাদ পড়েছেন বিগত কমিটির কেউ কেউ। তবে সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, তার ছেলে, ভায়রা ভাই ও শ্যালক কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলন থেকে শহিদুল ইসলাম মিলনকে সভাপতি ও শাহিন চাকলাদারকে সাধারণ সম্পাদক করে ২২ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শুক্রবার ৯৪ সদস্যের এই কমিটি অনুমোদন দেন।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যারা আছেন তারা হলেন-সহসভাপতি পদে আব্দুল মজিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনি খান পলাশ, সাইফুজ্জামান পিকুল, আব্দুল খালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম খয়রাত হোসেন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী রায়হান, গোলাম মোস্তফা, অ্যাডভোকেট জহুর আহমেদ, অ্যাডভোকেট এবিএম আহসানুল হক, মেহেদী হাসান মিন্টু ও এসএম হুমায়ুন কবীর কবু।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম, আশরাফুল আলম লিটন ও মীর জহুরুল ইসলাম, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাভোকেট গাজী আব্দুল কাদের, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে অ্যাডভোকেট আবু সেলিম রানা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে ফারুক আহমেদ কচি, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে সুখেন মজুমদার, দফতর সম্পাদক মজিবুদ্দৌলা কনক, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে খলিলুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুন্সী মহিউদ্দিন আহমেদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে সাঈফুদ্দিন সাইফ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল কবির বিপুল ফারাজী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সেতারা খাতুন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক জিয়াউল হাসান হ্যাপী, শিক্ষা ও মানব সম্পাদক বিষয়ক সম্পাদক এ এসএম আসিফ-উদ-দ্দৌলা, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ আতিকুর বাবু, শ্রম সম্পাদক কাজী আব্দুস সবুর হেলাল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী বর্ণ উত্তম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. এমএ বাশার, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আফজাল হোসেন, মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী ও জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, উপ-দফতর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদার, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক লুৎফুল কবীর বিজু ও কোষাধ্যক্ষ করা হয়েছে মঈনুল আলম টুলুকে।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, এমপি আফিল উদ্দিন, এমপি রনজিত রায়, এমপি মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন, মোহিত কুমার নাথ, আলেয়া আফরোজ, ফিরোজ রেজা আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ খাইরুজ্জামান রয়েল, এনামুল হক বাবুল, কৃষিবিদ আব্দুস সালাম, ফারুক হোসেন, সরদার অলিয়ার রহমান, মেহেদি মাসুদ চৌধুরী, শওকত আলী, আসাদুজ্জামান মিঠু, আসাদুজ্জামান আসাদ, মীর আরশাদ আলী রহমান, আনোয়ার হোসেন মোস্তাক, মোস্তাফা আশিষ দেবু, প্রভাষক দেলোয়ার হোসেন দিপু, কামাল হোসেন (শহর), অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, রফিকুল ইসলাম মোড়ল, মসিউর রহমান সাগর, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম তুহিন, ইঞ্জিনিয়ার আরশাদ পারভেজ, এহসানুর রহমান লিটু, গোলাম মোস্তফা, সামির ইসলাম পিয়াস, আলমুন ইসলাম পিপুল, অমিত কুমার বসু, নাজমা খানম, ভিক্টোরিয়া পারভিন সাথি, হুমায়ুন সুলতান ও মারুফ হোসেন খোকন।
এদিকে, গত কমিটির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর রোকেয়া পারভীন ডলি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কাজী রফিক ও দফতর সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু নতুন কমিটিতে স্থান পাননি।
অন্যদিকে সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের ছেলে সামির ইসলাম পিয়াস সদস্য হয়েছেন। ভায়রা ভাই শেখ আতিকুর রহমান বাবু শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং শ্যালক হুমায়ুন কবির কবু হয়েছেন সহসভাপতি। এরমধ্যে শ্যালক আগের কমিটিতে থাকলেও নতুন যুক্ত হয়েছেন ছেলে ও ভায়রা ভাই।
জানতে চাইলে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন সাংবাদিকদের বলেন, কিছু বাদ পড়বে কিছু নতুন ঢুকবে এটাই স্বাভাবিক। আর আমার পরিবারের যারা কমিটিতে স্থান পেয়েছে; তারা আগে থেকেই রাজনীতি করত। সবমিলিয়ে কমিটি ভালো হয়েছে।
১২ views