নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউনিয়নে আবদুর রহিম (৩৮) এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন। এ সময় তার কাছ থেকে একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ ডাকাতিকালে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তির ছোরার আঘাতে আহত হয়েছেন আশরাফ হোসেন মোহন নামের এক ব্যক্তি।
সোমবার (১২ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে কাদরা ১নং ওয়ার্ড নন্দিরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃত আবদুর রহিম ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের লোকমান হোসেন প্রকাশ রোকার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোর রাতের দিকে নন্দিরপাড় গ্রামের প্রবাসী আশরাফ হোসেন মোহনের বাড়ীতে ১০-১২ জনের একদল ডাকাত প্রবেশ করে। ডাকাতদল মোহনের ঘরের ছাদের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা মালামাল লুট করে ঘরের প্রধান দরজা খুলে বের হয়ে যাওয়ার সময় প্রবাসী মোহন পেছনে থাকা ডাকাত সদস্য আবদুর রহিমকে লোহার রড দিয়ে মাথার পেছনে আঘাত করে দ্রুত দরজা বন্ধ করে দেয়। ঘরে আটকে যাওয়া ডাকাত আবদুর রহিমের সঙ্গে হাতাহাতির একপর্যায়ে সে মোহনকে ছোরা দিয়ে আঘাত করে। মোহনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে বাইরে থাকা ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে লোকজনের সহযোগিতায় ডাকাত রহিমকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। আহত ডাকাত আবদুর রহিম ও প্রবাসী মোহন সেনবাগ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রবাসী আশরাফ হোসেন মোহন জানান, ডাকাত আবদুর রহিমকে আটক করা গেলেও তার অন্য সদস্যরা ঘরের আলমেরি ভেঙে ৮ ভরি স্বর্ণ, নগদ ২ লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। তাদের উপস্থিতি টের পেয়েও জীবন রক্ষার্থে আমরা প্রথমে বাধা দেয়নি। সুযোগ বুঝে কৌশলে এক ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হই।
সেনবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহত ব্যক্তি পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ক্ষতিগ্রস্তদের থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।