উজ্জ্বল কুমার দাস (কচুয়া,বাগেরহাট)প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
আগামী ৭ তারিখ থেকে দেশ ব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার কোভিড-১৯ টিকা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে যাচ্ছে।এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো এ উপজেলার মোট ৭ ইউনিয়নে আলাদা-আালাদা ভাবে এ টিকা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে ৩ টি করে বুথ স্থাপন করা হবে।প্রতি দিনে প্রতিটি বুথে ২০০ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে অর্থাৎ কেন্দ্র প্রতি দিনে ৬০০ জনকে টিকা দেওয়া যাবে।সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত এ টিকা প্রদান করা হবে।তবে টিকা নিতে আসা মানুষের সংখ্যা বেশি হলে ৩ টার পরেও কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রস্তুতি রেখেছেন কর্তৃপক্ষ।এ বিষয়ে আরো জানা যায়,প্রাথমিক ভাবে ১ সপ্তাহ ধরে চলমান ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমে প্রতি ইউনিয়নে এ সপ্তাহে ৩ দিন এ টিকা দেওয়া হবে।আমাদের হাতে আসা কচুয়া উপজেলার টিকা কেন্দ্র ও টিকা প্রদানের তারিখ সমূহঃ ৭, ৮ ও ১০ আগষ্ট ৩ দিন কচুয়া সদর ইউনিয়নের বারুইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ৭,৯ ও ১০ আগষ্ট ৩ দিন মঘিয়া ইউনিয়নের মঘিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে।৭,৯ ও ১০ আগষ্ট ৩ দিন ধোপাখালি ইউনিয়নের বাড়দাড়িয়া সাইক্লোন সেন্টারে।৭,৯ ও ১০ আগষ্ট ৩ দিন গজালিয়া ইউনিয়নের গজালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।৭,৮ ও ১০ আগষ্ট ৩ দিন রাড়িপারা ইউনিয়নের জন্য বারুইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।৭,৮ ও ১০ আগষ্ট ৩ দিন বাঁধাল ইউনিয়নের জন্য বিলকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।৭,৮ ও ১০ আগষ্ট ৩ দিন গোপালপুর ইউনিয়নের জন্য গোপালপুরের শহীদ আসাদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।প্রাপ্ত তথ্য মতে সপ্তাহে ৩ দিন প্রতি ইউনিয়নে ১ হাজার ৮ শত ডোজ এবং সব মিলিয়ে উপজেলায় ১২ হাজার ৬ শত ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হচ্ছে।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া যায়।এদিন কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোঃজাকির হোসেন বলেন, অফিসিয়াল অন্যাঅন্য কাজ ও কোভিড টিকার বাইরে অন্য টিকা কার্যক্রম থাকায় প্রতিটি ইউনিয়নে ৩ দিন কোভিড টিকা প্রদান কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন মাঠ পর্যায়ে টিকা প্রদান কার্যক্রম চলাকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়মিত টিকা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে এবং মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি বুথে টিকা প্রদান কাজে সহায়তা করবেন ১ জন করে স্বাস্থ্য সহকারী (HA) ও ১ জন করে পরিবার কল্যান সহকারী।এছাড়াও প্রতি বুথে ১ জন করে সেচ্ছাসেবী রাখা হয়েছে।আরএমও ডাক্তার মনিসংকর পাইক (রুদ্র)বলেন, টিকার যে লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে তার কোন ধরনের সংকট নেই এবং টিকা প্রদানের জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত জনবল রয়েছে।সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী টিকা প্রদান কার্যক্রম চলমান থাকবে।তাই জনসাধারণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে টিকা কেন্দ্রে এসে টিকা নিবেন বলে আশা ব্যাক্ত করেন।এবার টিকা কেন্দ্রে জাতীয় পরিচয়পত্র সাথে নিয়ে গেলে খুব সহজেই অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন ছাড়াই টিকা নেওয়ার সুযোগ করা হয়েছে।আর যারা ইতি মধ্যে অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করে ফেলেছেন তারাও এস.এম.এস এর অপেক্ষা না করে সরাসরি টিকা কার্ড সাথে নিয়ে গেলে টিকা নিতে পারবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।আর কোন ধরনের সংকট না হলে প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণের ২৮ দিন পরে বাকি ২য় ডোজ টিকা দেওয়া হবে।কারো কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে চিকিৎসকদের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া আছে।এছাড়াও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন গর্ভবতী ও স্তন্য দানকারী নারী,জ্বরে আক্রান্ত বা অসুস্থ ব্যাক্তি,এলার্জি আছে এমন ব্যাক্তিকে এখন পর্যন্ত টিকা দেওয়া যাবে না।তাছাড়া যে সকল ব্যাক্তি অনিয়ন্ত্রিত দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত তাদের টিকা নেওয়ার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং ১৮ বছরের নিচের জনগোষ্ঠীর কাউকে এখনো পর্যন্ত টিকা দেওয়ার কোন পরিকল্পনা নেই তাদের।আর যারা করোনা পজিটিভ হয়েছেন তারা নেগেটিভ হওয়ার ২৮ দিনের আগে টিকা নিতে পারবেন না।