মোঃ আতিকুর রহমান শৈলকুপা ঝিনাইদহ প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার বেড়বাড়ী গ্রামের স্বামী কতৃক গৃহবধু মিতুর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ১ বছর আগে বেড়বাড়ী গ্রামের মাফিজের লম্পট ছেলে মিঠুনের সাথে চড়িয়ার বিল গ্রামের জামালের মেয়ে মিতু(১৮) কে বিয়ে দেয় কিন্তু বিয়ের পর জানতে পারে লম্পট মিঠুন পরকিয়ায় আসক্ত তার পরও ধর্য ধারণ করে সংসার করতে থাকে মিতু। গত ১৮ তারিখ সন্ধার পরে লম্পট মিঠুন মিতুকে ব্যাপক মারধর করে পরে পাড়াপ্রতিবেশি এসে দেখতে পাই মিতু মারা গিয়েছে। তখন লম্পট স্বামী মিতুর গলায় দড়ি বেঁধে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে দিয়ে অপপ্রচার চালায় যে মিতু গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তখন পুলিশকে না জানিয়ে মিতুর বাবার বাড়িতে খবর দিয়ে লোকজন ডেকে বিষয় মিতুর চাচা এলাকার মাতুব্বর দুদুর মাধ্যমে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দিতে যাই।কিন্তু ভাগ্যর কি পরিহাস বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে খবর আসে। সাংবাদিক গন সাথে সাথে পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনা স্হলে পৌছান তার পরে দেখা যায় মিতুর গায়ে অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মিতুর মামী বলেন আমরা মিতুকে বিয়ে দেওয়ার পর থেকেই বিপদে ছিলাম মিঠুন পাশের বাড়ির এক মেয়েকে ভালো বাসতো আমরা অনেক বার মিঠুন কে নিষেধ করে ছি কিন্তু সে কোন কথায় না শুনে আমাদের মেয়ে কে হত্যা করেছে আমরা এর বিচার চাই। এলাকার সমাজ সেবক জনাব ওয়াসকার জানান আমরা শুনেছি মেয়েটি গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে আসলে কি আমি শিওর বলতে পারবো না।এই নিউজ লেখা পর্যন্ত মিঠুন সহ তার বাড়ির সবাই পলাতক রয়েছে। এলাকার কিছু মানুষ বলেন দুদু মাতবর বিষয় টা ১ লাখ টাকায় মিট করার জন্য এখন বসে আছে। আমরা চাই এই মিঠুনের বিচার হোক। কারণ ১ লাখ টাকায় দুদু মাতবর লাশ টা বিক্রি করতে চাচ্ছে। এই বিষয়ে শৈলকূপা থানার এস আই সাজ্জাত ঘটনার স্হানে উপস্থিতি সাংবাদিক দের জানান। কোথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে সেটা আমি বলবো না আপনারা কোর্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন। তিনি সাংবাদিক দের কে অবমূল্যায়ন করে বলেন আপনার সাংবাদিক তাই কি হয়েছে। বিষয়ে ২ নং মির্জাপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান বলেন এটা পরিকল্পিত হত্যা এর কঠিন বিচার হওয়ার দরকার। পরে জানতে পারলাম দুদু মাতবর এর মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
১৩৭ views