কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ চৌধুরীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৯০ দশমিক ৪৪২ মেট্রিক টন সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে আনা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ চৌধুরী, গুদামের খ-কালীন পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. শাহজাহান প্রকাশ মিন্টু, নিরাপত্তাপ্রহরী নিজাম উদ্দিন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দফতরের স্প্রে ম্যান মো. শাহজাহান (বর্তমানে কুতুবদিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দফতরে নিযুক্ত), মেসার্স হিমায়ন সি-ফুডসের প্রোপ্রাইটর ও কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ার শিকদার মহল এলাকার জানে আলমের স্ত্রী দিলরুবা হাসান এবং মেসার্স মোহনা এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর ও শহরের ঝাউতলা গাড়িরমাঠ এলাকার মাস্টার শফিকুর রহমানের ছেলে সেলিম রেজা।
সোমবার দুদকের সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২-এর সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশ বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। এরই মধ্যে মামলার প্রধান আসামি খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ চৌধুরী গ্রেফতার হয়েছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২-এর সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশ বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৯০ দশমিক ৪৪২ মেট্রিক টন সরকারি চাল, যার বাজার মূল্য ৮৫ লাখ ২৫ হাজার ৪৩৭ টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা। খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার যোগসাজশে এসব চাল গায়েব করা হয়েছে। দ-বিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সনদের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলার তদন্তকালে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) আফিফ আল মাহমুদ ভূঁইয়া ২৯ জুলাই কুতুবদিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। দুদকের তফসিলভুক্ত বিধায় অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠায় থানা পুলিশ। জানা গেছে, ২১ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ১০ দিনে ঠিকাদার দিলরুবা হাসান ও সেলিম রেজার মাধ্যমে কক্সবাজার সদর এলএসডি থেকে ৩০২ দশমিক ৬৭৯ মেট্রিক টন চাল বড়ঘোপ খাদ্যগুদামে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ১৯০ দশমিক ৪৪২ মেট্রিক টন সরকারি চাল গায়েব করে দেন আসামিরা।