কানাইঘাট প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের মৃত ফয়জুল হকের পুত্র তোতা মিয়া ও তার সহযোগিরা বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। একই ইউনিয়নের বাউরভাগ ২য়খন্ড গ্রামের মৃত প্রমুদ বৈদ্যের পুত্র সংখ্যালঘু মাখন বৈদ্য গংদের মৌরসী এবং রেকর্ডীয় সূত্রে মালিকানাধীন ভোগ দখলীয় ১০ বিঘা ফসলী জমি জোর পূর্বক জবর দখলের ঘটনায় ভূক্ত ভোগী পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তোতা মিয়া গংদের কবল থেকে তাদের জমিগুলি উদ্ধার করতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। গতকাল সোমবার বিকেল ২টায় কানাইঘাট প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মাখন বৈদ্যের পক্ষে তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রুনা রানী শুক্ল বৈদ্য লিখিত বক্তব্য পাঠকালে বলেন, জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাখন বৈদ্যের চাচাতো ভাই লনি বৈদ্যের সাথে তাদের বিরোধ সহ মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। এই সুযোগে এলাকার প্রভাবশালী ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি তোতা মিয়া ও তার ভাই জাকারিয়া ও তাদের সহযোগি নুনছড়া গ্রামের নাজিম উদ্দিন ও মঙ্গলপুর গ্রামের আব্দুর রকিব দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই লনি বৈদ্যের সাথে আতাত করে তাদের পরিবারের দখলীয় রেকর্ডি সূত্রে মালিকানাধীন বাউরভাগ ২য় খন্ড গ্রামে অবস্থিত প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার উপরে মূল্যের ১০ বিঘা ফসলী জমি জোর পূর্বক ভাবে দখল করে নেয়। এর আগে তোতা মিয়া গংরা আমার স্বামীর পরিবারের ৬ বিঘা বাগানবাড়ী দখলের চেষ্টা করে। সংবাদ সম্মেলনে রুনা রানী বৈদ্য আরো বলেন, তাদের জমি দখলের আগে ২০১৭ সালের ২৩ জুলাই এলাকার চিহ্নিত চোরাকারবারী তোতা মিয়া ও তার ভাইয়েরা স্থানীয় সুরইঘাট বাজারে তার স্বামী সুধির বৈদ্যকে পাইয়া বলে আমাদের পৈত্রিক সূত্রে মালিকানা ১০ বিঘা ফসলী জমিগুলো তাদের দাবী করে জমিতে না নামার জন্য হুমকি দেয়। ত্রাস সৃষ্টি করে জমি দখলের পর তোতা মিয়া গংদের বিরুদ্ধে আমরা আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করি এবং স্থানীয় ভাবে বিচার প্রার্থী হলে ইউপি চেয়ারম্যান জেমস লিও ফারুগুশন নানকা সহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ আমাদের জমিতে না নামার জন্য তোতা মিয়া গংদের বাধা নিষেধ দেন। কিন্তু তোতা মিয়া এসব বাধা নিষেধ উপেক্ষা করে আমরা সংখ্যালঘু পরিবারের নিরীহ লোক হওয়ায় নানা ভাবে খুন জখমের হুমকি প্রদান করে। ককেয়টি মিথ্যা মামলা দিয়ে তোতা মিয়া গংরা আমাদের পরিবাররে সদস্যদেরকে মাদক ও গাঁজা দোকানে রেখে হয়রানী করলে এসব মামলা থেকে আমরা বেকসুর খালাস পাই। তোতা মিয়া এলাকার চিহ্নিত চোরাকারবারী প্রভাবশালী ও স্থানীয় লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হওয়ায় তার অব্যাহত প্রাননাশের হুমকির মুখে আমরা আইনের আশ্রয় নিতে পারছি না। এলাকায় আওয়ামীলীগ ও সরকারের নাম ভাংগিয়ে তোতা মিয়া বেপরোয়া কর্মকান্ড করে যাচ্ছে অদ্যবধি পর্যন্ত তোতা মিয়া গংরা জোর পূর্বক ভাবে আমাদের পরিবারের ১০ বিঘা ফসলী জমি দখল করে সেখানে ঘর নির্মান সহ জমিগুলি ফসল লাগিয়ে ক্ষেত করে আসছে। থানা পুলিশ তদন্ত করে জমিগুলি আমাদের বলে প্রতিবেদন দেওয়ার পরও তোতা বাহিনীর অব্যাহত হুমকির মুখে আমরা বাড়ী ঘরে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি এবং নিজেদের জমি জবর দখল থেকে উদ্ধার করতে পারছি না। বর্তমানে তোতা মিয়ার হুকুমে একটি মামলায় আমাদের পরিবারের অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমতাবস্তায় সংবাদ সম্মেলনে সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা কান্না জড়িত কণ্ঠে তোতা মিয়া গংদের দখলে থাকা তাদের ১০ বিঘা ফসলী জমি উদ্ধার করতে সহায়তা প্রদান ও নিরাপদে বাড়ীতে বসবাসের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ সিলেটের সকল প্রশাসন ও সিলেট জেলা, উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেন। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাখন বৈদ্য ও তার ভাই আশু বৈদ্য, প্রতিমারানী শুল্ক বৈদ্য।