কমল তালুকদার পাথরঘাটা বরগুনা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতনতার বিকল্প নেই। তাই বেশি করে নদীর তীরবর্তী ও তৃণমূল মানুষকে সচেতন করতে হবে। একই সঙ্গে দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী মানুষকে অবহিতকরণের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে হবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় দিনব্যাপী কর্মশালায় পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বক্তব্যরা এ মতামত দেন।পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির, নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পাভীন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু, পাথরঘাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ খালেক, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির পাথরঘাটা উপজেলা টিম লিডার অলিউল ইসলাম, বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী প্রমুখ।কর্মশালায় পাথরঘাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নটির একদিকে সাগর মোহনা এবং অপর দুই দিকে বলেশ্বর ও বিষখালী নদী বেষ্টিত। ওই নদীর তীরবর্তী প্রায় ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গা রয়েছে। এতে অতি জোয়ারে বেড়িবাঁধ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। তাই পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পদ্মা, রূহিতা ও জিনতলা বেড়িবাঁধটি মেরামতসহ পুনর্নির্মাণ করা খুবই জরুরি।এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ বলেন, উপজেলার বেড়িবাঁধগুলো সরেজমিনে গিয়ে ভাঙ্গা বেড়িবাঁধের ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন পাঠানো হবে। একই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রেখে মানসই করা হবে। তবে দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতনতার বিকল্প নেই। তাই নদীর তীরবর্তী ও তৃণমূল মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন করতে হবে।
১ view