এস.এম জামাল উদ্দিন শামীম, ময়মনসিংহ : ব্যাপক ঝাক-জমক ও উৎসাহ উদ্দীপনা মূখর পরিবেশে ময়মনসিংহে পালিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শহীদ শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিন।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে নেতৃবৃন্দ ময়ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের নেতৃত্বে ১৮ই অক্টোবর রবিবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুস্পাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।পরে সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমীর উদ্যোগে ময়মনসিংহের জয়নুল উদ্যানের বৈশাখী মঞ্চে আলোচনা সভা ও প্রতিযোগীতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক বুদ্ধিজীবী সুভাষ সিংহ রায়।
বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক দিলরুবা সারমিনের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক শরীফুল ইসলাম সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন, বিশেষ অতিথি-ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের জনপ্রিয় মেয়র ইকরামুল হক টিটু, জেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক এড.মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়িতা শিল্পী, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কাজী আজাদ জাহান শামীম, বঙ্গবন্ধু শতবর্ষ উদযাপন পরিষদের আহবায়ক ড.সিরাজুল ইসলাম, বাংলার মুখ ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ লে.কর্নেল (অবঃ) ড. মোঃ শাহাব উদ্দিন, জেলা আওয়ামিলীগের দপ্তর সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু সাইদ দ্বীন ইসলাম ফখরুল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর ভাষাণী, মহানগর আওয়ামিলীগের উপদেষ্টা বাবু প্রদীপ ভৌমিক, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এড. এমদাদুল হক সেলিম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরজাহান বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপ্না খন্দকার, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ এর সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সেজুতী, তারাকান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ জামাল উদ্দীন, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহ শওকত উসমান লিটন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে কেক কেটে ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপন করে নেতাকর্মীরা।
উল্ল্যেখ- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধু এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে নরপিশাচরা নির্মমভাবে তাকেও হত্যা করেছিল। তিনি তখন ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
২ views