মো:সোহেল সিকদার মাদারীপুর প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ মাদারীপুর সদর উপজেলার শ্রীনদী কোটবাড়ী নতুন সড়কের কিছু অংশ বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলিন এবং রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট কালীবাড়ী ফিডার সড়কের কিছু অংশ কুমার নদে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত সড়কটির এ অবস্থা হয়েছে। এখনও ভেঙ্গে চলেছে।যে কোন মুহুর্তে সড়কটির পুরো অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এদিকে টেকেরহাট সংলগ্ন শংকরদী গ্রামের মুন্সী পাড়া একটি জামে মসজিদসহ প্রায় ২০টি বসতঘর নদী ভাঙ্গনের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে । এছাড়া বিগত কয়েক বছরে এ এলাকা থেকে প্রায় ৩০ টি পরিবারের বসত ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় অন্যাত্র চলে গেছে ।জানা গেছে, উপজেলার টেকেরহাট কালীবাড়ী সড়কের গোয়ালবাথান উত্তরপাড়া নামক স্থানে প্রায় ১০০ মিটার পাঁকা সড়ক কুমার নদে বিলীণ হওয়ার পথে। সড়কটির বেশিরভাগই নদে চলে গেছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে পুরো সড়কটি নদে বিলীণ হয়ে যেতে পারে।সড়কটি পুরো বিলীণ হয়ে গেলে বিদ্যানন্দী মাঠের হাজার হাজার একর জমির ধান নদের পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। এদিকে টেকেরহাট সংলগ্ন শংকরদী গ্রামের মুন্সী পাড়া একটি জামে মসজিদ ও লাবলু মুন্সী, কেনাল মুন্সী, তানভীর মুন্সী, তৈয়ব মুন্সী, আসমত মুন্সী, লুৎফর মুন্সী, রফিকুর মুন্সীর বসতঘরসহ প্রায় ২০টি বসতঘর নদী ভাঙ্গনের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় নদী গর্ভে বিলীণ হয়ে যাওয়ার আশংখা করছে স্থানীয়রা ।এছাড়া বিগত কয়েক বছরে এ এলাকা থেকে প্রায় ৩০ টি পরিবারের বসত ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় অন্যাত্র গিয়ে বসবাস করছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলি জানায় ।গোয়ালবাথান এলাকাবাসীদের মধ্যে নারায়ন হালদার, ফেরদাউস, মিরুল, শহর আলীসহ অনেকেই জানিয়েছে, কুমার নদ থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলণের ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এখনই ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা না হলে বিদ্যানন্দী মাঠের সকল ফসলী জমি নদের পানিতে ডুবে যাবে। এতে আমরা চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবো।হরিদাসদী মহেন্দ্রদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জানান, ভাঙ্গন রোধে উপরস্থ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জরুরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান, বর্ষাকালে নদের ভাঙ্গনে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে জরুরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়াও মাদারীপুরে নদ-নদীর ভাঙ্গন রোধে বড় প্রকল্প পাঠানো হয়েছে।