রেদোয়ান হাসান সাভার ঢাকা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ মৃত্যুর পরেও গিনেস রেকর্ডে ঠাঁই হলো রানির কিছুদিন আগেই ক্ষুদ্রাকৃতি দিয়ে সারা বিশ্বের নজর কেড়েছিল রানি নামের একটি গরু। ঢাকার সাভারে খর্বাকৃতির এই গরুকে নিয়ে সরব ছিল বিশ্ব মিডিয়াও। কিন্তু গত ১৯ আগস্ট হঠাৎ করেই তার মৃত্যুতে শোক নেমে আসে নেটিজেনদের মাঝে। এই মৃত্যু যেন মেনে নিতে পারছিলেন না অনেকেই। এবার রানির বিশ্ব রেকর্ডের খবর দিয়ে সেই আক্ষেপ আরও বাড়াল গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ। রানিকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর স্বীকৃতি দিয়েছে সংস্থাটি। সোমবার রাত ১১টার দিকে সাভারে চারিগ্রাম এলাকার শেকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী কাজী মো. আবু সুফিয়ান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে বিকেল ৪টার দিকে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ তাকে ই-মেইলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জানান। গিনেস বুক থেকে পাঠানো রানির রেকর্ডের স্বীকৃতিপত্র আবু সুফিয়ান বলেন, ‘রানি আমাদের সবার অনেক আদরের ছিল। প্রাণী হলেও রানিকে আমরা পরিবারের একজন করে নিয়েছিলাম। কিন্তু গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে যখন রানির নাম উঠতে আর কিছুদিন বাকি তখনই আমরা তাকে হারিয়েছি। রানির মৃত্যু কোনোভাবেই ওই সময় মেনে নিতে পারিনি আমরা। ‘তবে অবশেষে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ তাদের নিয়ম-কানুন মেনেই রানিকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা সত্যিই অনেক আনন্দিত। তবে রানি বেঁচে থাকলে এই আনন্দের মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে যেত। আমাদের শেকড় ফার্মে রানিকে দেখতে ভিড় জমাতেন সাধারণ মানুষ ও সংবাদকর্মীরা। আমরা রানিকে কোলে নিয়ে ছবি তুলেই এই মুহূর্তটা উদযাপন করতে পারতাম।’ মরে যাওয়ার পরও গিনেস বুক কিভাবে রানিকে রেকর্ডের স্বীকৃতি দিয়েছে, জানতে চাইলে আবু সুফিয়ান বলেন, ‘ওদের কাছে আমরা রানির পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাঠিয়েছিলাম। ওরা মূলত দেখেছে, আমরা হরমোন জাতীয় ইনজেকশন পুশ করে রানিকে বামন করেছিলাম কি না? কিন্তু এ ধরনের কোনো কিছু তারা রিপোর্টে পায়নি। তিন দিন আগে ওরা রানিকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু ই-মেইল করেছে আজ।