আব্দুল জলিল মিয়া সাভার আশুলিয়া ঢাকা প্রকিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃরাজনীতিতে বর্তমানে ত্যাগী নেতাদের সংখ্যা কমে আসছে এবং অনেকেই আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশে রাজনীতি করছেন বলে মন্তব্য করেছেন ১৯৯১ সালের ছাত্রলীগ নেতা মোঃ জসিম উদ্দিন পিন্টু মোল্লা।সোমবার (০৪/১০/২০২১ তারিখ) বিকেলে প্রতিবেদককে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে আবেগি সুরে এ মন্তব্য করেন।মোঃ জসিম উদ্দিন পিন্টু মোল্লা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এখন অনেকেই রাজনীতি করেন মঞ্চের পাশে এসে নিজের চেহারা দেখানোর জন্য। এবং সেই চেহারাকে পুঁজি করে ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক মুনাফা লাভের আশায় তারা রাজনীতি করেন।তিনি বলেন, ‘আমাদের এই সমাজে ভালো মানুষের সংখ্যা কম নয়। তবে খারাপ মানুষ চাটুকারিতার মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর তাদের কারণে ভালো মানুষরা পিছিয়ে পড়ছেন। রাজনীতি, ব্যবসা ও সাংবাদিকতাসহ সমাজের সব ক্ষেত্রেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আমি স্পষ্টভাষী লোক। স্পষ্ট ভাষায়া কথা বলতে চাই।’সমাজের বিভিন্ন জায়গায় যেমন ভালো মানুষ এবং খারাপ মানুষ আছেন, তেমনি রাজনীতিতেও ভালো-খারাপ মিলিয়ে আছে।তিনি আরো বলেন রাজনীতিতে লুটপাট , বিএনপি-জামাত থেকে অনুপ্রবেশকারী, আর মুখোশধারীদের ভিড়ে আমাদের মত আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কর্মী ও রাজনীতিবিদ হারিয়ে যাচ্ছে।নিজের ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে মোঃ জসিম উদ্দিন পিন্টু মোল্লা বলেন, রাজনীতি আমার পেশা নয়”রাজনীতি আমার নেশা”কোনো কিছু চাওয়া পাওয়ার জন্য আমি রাজনীতিতে আসি নাই। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চেয়ে নিজের হাতে পোস্টার লিখেছিলাম। আমাদেরকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে দেওয়া হলো। ওয়ান ইলেভেনের সময় রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে গিয়েছি এখানে অনেক পোড় খেয়ে আওয়ামী লীগকে ধারণ করে গিয়েছি । বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখন কোনো পদ পদবী নেই.! কারণ আমরা মিথ্যা অন্যের উপর অত্যাচার বিএনপি জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে পারি না । আমাদের ভেতর চাপা একটা অভিমাণ আছে। এই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য ২১ বছর সংগ্রাম করতে হয়েছে। এখন চারদিকে দেখি কেবল আওয়ামীলীগ আর আওয়ামীলীগ।আর কোনো লীগ দেখি না।কিন্তু সেদিন আওয়ামী লীগের অনেক অভাব ছিল।সেইদিন এত মানুষ ছিল না।রাজনীতিতে এসে পকেটে টাকা ভরা খুব সহজ। কিন্তু পকেট থেকে টাকা বের করে দেওয়াটা কষ্টের। যদি সেটা হয় শ্রমের টাকা, তাহলে আরও বেশি কষ্টের। ঘুষের টাকা খরচা করা যায় রাজনীতিতে চমক সৃষ্টি করার জন্য। আমার নিজ এলাকায় আশুলিয়া ইউনিয়নে অনেকেই একসময় ছিলেন, তাদের অনেকেরই কিছু ছিল না। কারো বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে চাই না। তবে যখন পেরেছি নিজের অর্থ দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,মাদরাসা,প্রতিষ্ঠাসহ মানুষের কল্যাণে অর্থ ব্যয় করতে। মোঃ জসিম উদ্দিন পিন্টু মোল্লা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক পরিচয়.? ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদস্য কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা, ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখায়, ১৯৯৮ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত নির্বাচিত প্রো ভি,পি কুষ্টিয়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদ, ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সিনিয়র সহ-সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুষ্টিয়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সর্বশেষ ২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন আশুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ ও ছিলেন সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় মোঃ জসিম উদ্দিন পিন্টু মোল্লার মত ছাত্রলীগ নেতার আজ কোন আওয়ামী লীগের নেই পদ পদবী।