এস এম শাহাদৎ হোসাইন গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ মিথ্যা মামলায় হয়রানি, চিহ্নিত ডাকাত ও ভূমিদস্যুদের হাত থেকে বাঁচতে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী রিয়াসাত রিফফাত নবী মলিন সরকার। ১০ অক্টোবর রবিবার দুপুরে পলাশবাড়ী শহরের পুরাতন কৃষি ব্যাংক ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রিয়াসাত রিফফাত নবী মলিন সরকার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, নুনিয়াগাড়ী গ্রামের মৃত রশীদুন নবী চান সরকার আমার বাবা। পলাশবাড়ী শহরের চিহ্নিত ডাকাত ও মাদক কারবারি, কথিত সাংবাদিক শাহজাহান আলী ভুলু বিভিন্ন সময়ে আমার পৈত্রিক স¤পত্তি জবরদখল এবং স¤পত্তি নিয়ে আমাকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি, মিথ্যা মামলা, অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করে আমাকে ও আমার পরিবারকে সমাজে হেয় করছে। এর প্রতিকারের দাবিতে আজকের এ সংবাদ সম্মেলন। পলাশবাড়ী পৌর এলাকার নুরপুর মৌজার দাগ নং ৪৫১ ও ৪৪৭ দাগে মোট জমি ১০৮ শতাংশের মধ্যে ২৫ শতক দাবির প্রেক্ষিতে ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি খারিজ করে আমাদের পক্ষে রায় দেওয়ায় লোক-লজ্জার ভয়ে রাতের আঁধারে শাহজাহান আলী ভুলু অবৈধভাবে জবরদখল করা ছাপড়া ঘরের স্থাপনা সরিয়ে নেয়। সেই ছাপড়া ঘরে শাহজাহান আলী ভুলু বা তার পরিবারের কেউ কখনো বসবাস করে নাই। গত সময়ে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে ওই ছাপড়া ঘর তুলে জবরদখলের পাঁয়তারা অব্যাহত রাখে। এতে আমার ও আমার পরিবারের মানসম্মান ক্ষুণœ হচ্ছে। শাহজাহান আলী ভুলু পলাশবাড়ী পৌর শহরের বৈরী হরিণবাড়ী গ্রামের মৃত লাল মিয়া ফকিরের ছেলে। সে একজন ডাকাত, মাদক কারবারি, ভূমিদস্যুও ফটকাবাজ। ভূমিদস্যু ও দাঙ্গাবাজ ব্যক্তির অপকর্ম ও মামলা হামলার শিকার হয়ে আমরা পারিবারিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। আমার প্রতিষ্ঠান ডিমল্যান্ড এ্যাডুকেশন পার্কের বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাসহ অন্যান্য বিশিষ্টজনের ভাস্কর্য ভাঙ্গার হুমকি ধমকি প্রদান করায় ২০১৮ সালে ৭ অক্টোবর পলাশবাড়ী থানা জিডি করা হয়। যার নম্বর ২৮২। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান শেখ ফরিদ, শ্রমিকনেতা সুরুজ হক লিটন, ব্যবসায়ী সাজাদুল ইসলাম, ফজলুল কবির প্রধান, মিন্টু খন্দকার প্রমুখ।