রেদোয়ান হাসান সাভার,ঢাকা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ ঢাকার ধামরাইয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ে না করায় প্রেমিক সাইফুল ইসলামের জিহ্বা ব্লেড দিয়ে কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রেমিকা শারমিন আক্তারসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আহত প্রেমিক সাইফুল ইসলাম স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে ধামরাইয়ের রোয়াইল ইউনিয়ন এলাকার ফড়িঙ্গা গ্রামে প্রেমিকা শারমিন আক্তারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত সাইফুল ইসলাম একই গ্রামের রহমত আলীর ছেলে।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, প্রেমিকা শারমিন আক্তার, তার বাবা শফিকুল ইসলাম, মা পানকা বেগম ও ভাই ফারুক হোসেন।পুলিশ জানায়, ফড়িঙ্গা গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সাইফুল ইসলামের। বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে সাইফুল ইসলাম অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এভাবে সময়ক্ষেপণ করতে থাকায় শনিবার সকালে শারমিন আক্তার প্রেমিক সাইফুল ইসলামকে তার বাড়িতে ডেকে নেন। পরে কৌশলে শারমিন আক্তার ব্লেড দিয়ে প্রেমিক সাইফুল ইসলামের জিহ্বা কেটে ফেলেন।পুলিশ আরও জানায়, ঘটনার পর শারমিন আক্তারের পরিবারের সদস্যরা সাইফুল ইসলামকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে সাইফুল ইসলাম অজ্ঞান হয়ে গেলে শারমিন আক্তারের পরিবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন সাইফুল ইসলামকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনার পর পুলিশকে ঘটনাস্থলে গিয়ে সাইফুল ইসলামের কেটে রাখা জিহ্বা উদ্ধার করে। ধামরাই থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নির্মল কুমার দাশ বলেন, শারমিন আক্তারসহ তার পরিবারের চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাতেই একটি মামলা হয়েছে।