সাব্বির হোসেন শরণখোলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই চলছে বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র।দেখার কেউ নেই,এ যেন কতৃপক্ষের খামখেয়ালিপনায় চলছে এ কেন্দ্রটি। খোজ নিয়ে জানা যায় প্রতিদিন খোলার কথা থাকলেও সপ্তাহের বুধবার শুধুমাত্র ১দিনই খুলে এ কেন্দ্রটি। সাপ্তাহিক কেন্দ্র বললেই চলে।(২৭ অক্টোবর) বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কেন্দ্রটির চারিদিকের বাউন্ডারি ওয়াল স্যাতস্যাতে ও জির্ণশীর্ন অবস্থায় আছে। বাহির থেকে দেখলে মনে হয় যুগ যুগ ধরে বন্ধ রয়েছে কেন্দ্রটি।মেইন গেট দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়ে ঘাস লতা–পাতা আগাছায় ভরপুর রয়েছে সামনের দিক। ভিতরে ঢুকে দেখা গেল ময়লা আবর্জনা পড়ে আছে মেঝেতে। যে রুমটিতে বসে রুগী দেখছে তার পাশের রুমে গেলে দেখা যায় চেয়ার টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাব পত্রে ভরপুর অথচ নিয়ম ওই রুমটিতে বসে চেকআপ/ শুইয়ে রুগী দেখবে।কেন্দ্রের দুটি রুম ছাড়া বাকি সব রুম তালাবদ্ধ জীর্নশির্ন অবস্থায় রয়েছে। কেন্দ্রের বাথরুমগুলা রয়েছে অস্বাস্থ্যকর অবস্থায়।কেন্দ্রটির পিছনের দিকে গেলে আরও করুণ অবস্থা। সামনের চেয়েও বেশি ভয়াবহ, ঘাস লতা পাতা আগাছায় ভরপুর। কেন্দ্রের কোয়াটার আছে কিন্তু অনেক দিন ধরে ব্যবহার হচ্ছে না জরা জীর্ণ অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় পড়ে আছে। এমতো অবস্থায় পড়ে থাকলে নানান ধরনের রোগ হতে পারে। উৎপাদন হতে পারে ডেঙ্গু ছড়িয়ে যেতে পারে চারিদিকে। কেন্দ্রটি ঘুরে কোথাও চোখে পড়েনি হাত ধোঁয়ার বেসিন বা ওয়াশরুম। করোনার এই মহামারিতে সরকারি বা বেসরকারিভাবে হাত ধোঁয়ার জন্য বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করেছে। তৈরি করেছে হাত ধোঁয়ার বেসিন কিন্তু কেন্দ্রটিতে একটাও বেসিন নাই।জানতে চাইলে শরণখোলা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (UFPO) মোঃ দিলদার হোসেন বলেন, কেন্দ্রটিতে কোনো চিকিৎসক নেই। পদ শুন্য রয়েছে এ কেন্দ্রটি। অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নের ব্যাপারে কথা হলে তিনি কেন্দ্রটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করবেন বলে আশ্বাস দেন।