আরশাদুল ইসলাম ঝন্টু কেশবপুর যশোর প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ যশোরের কেশবপুরে ২৭ বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবমুখি পদক্ষেপের কারণে পানি দ্রুত কমতে শুরু করেছে।সুফলাকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাষ্টার আব্দুস সামাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২৭ বিল এলাকার মানুষ আশার আলো দেখা শুরু করেছে। একাজে তাকে সহযোগিতা করছেন পাঁজিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল, আকবার হোসেন ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু সাঈদ লাভলু এবং বিল এলাকার ভুক্তভোগি জনগণ।এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে, বর্ষা মৌসুমে কেশবপুর উপজেলা ২৭ বিলে জলাবদ্ধতা দেখা। মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে। বিলপাড়ের মানুষের দূর্ভোগের কারণে সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাষ্টার আব্দুস সামাদ জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু করেন। তিনি দেখেন যে বিল খুকশিয়ার ডায়েরখালে ৮ ব্যান্ডে পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে। ২৭ বিলের পানির স্তর থেকে ভাটার সময় হরি নদীর পানির স্তর ৪/৫ ফুট নিচে থাকে। এ অবস্থায় মাষ্টার আব্দুস সামাদ এলাকাবাসির সহযোগিতায় ডায়েরখালে ভাসমান স্কেবেটার দিয়ে ৮ ব্যান্ডে পলি অপসরণ করে ৪টি কাঠের কালভাট তৈরী করেছেন। স্লুইস গেটের ৪টি কপাট তুলে দিলে ঐ ৪টি কাঠের কালভাট দিয়ে প্রচন্ড গতিতে পানি সরেেছ। যার ফলে ২৭ বিল এলাকার মানুষ আশার আলো দেখছেন। তাদের ধারণা ২৭ বিল এলাকায় বোরো মৌসুমে ২৪ হাজার বিঘা জমিতে এবার ধান আবাদের সুযোগ তৈরি হবে। এব্যাপারে সুফলাকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাষ্টার আব্দুস সামাদ বলেন, যশোর-৬ কেশবপুরের সংসদ সদস্য ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এর উৎসাহে তিনি ২৭ বিলের ভুক্তোভোগি মানুষের সাহায্যে তিনি দূর্বার গতিতে কাজ করে চলেছেন। অপরদিকে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন ২৭ বিলের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প কয়েকবার পরিদর্শন করেছেন।
০ views