আরশাদুল ইসলাম ঝন্টু কেশবপুর যশোর প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ যশোরের কেশবপুরে সাহিত্যিক ও নায়ক ধীরাজ ভট্টাচার্যের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী শুক্রবার। তিনি ১৯০৫ সালের ৫ নভেম্বর উপজেলার পাঁজিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কেশবপুর উপজেলায় আজ অবধি যে সকল প্রখ্যাত ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম তিনি। সুনিপুণ মেধার কারণে ধীরাজ ভট্টাচার্য জয় করেছেন লাখো মানুষের মন। তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘আমরা সাজাবো কেশবপুর’ সংগঠনের উদ্যোগে শুক্রবার বিকেলে প্রেসক্লাবের হলরুমে তাঁর কর্মময় জীবনীর উপর আলোচনা ও কবিতা আবৃত্তির আয়োজন করা হয়েছে।বাংলা সাহিত্যে ও চলচ্চিত্রে অজশ্র অনুরাগীর অন্তরলোকে ধীরাজ ভট্টাচার্যের ভাবমূর্তি চিরলাবণ্য ও মহিমায় বিরাজমান। তিনি ১৯২৪ সালে ‘সতী লক্ষী’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন। পরবর্তীতে ‘মরণের পরে’, ‘হানাবাড়ী’, ‘ডাকিনলার চর’, ‘রাত একটা’, ‘ধূমকেতু’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন ধীরাজ ভট্টাচার্য।চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর সাহিত্য সাধনা অব্যাহত ছিল। দেশ পত্রিকার পাতায় ‘যখন পুলিশ ছিলাম’ ও ‘যখন নায়ক ছিলাম’- আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ দুটি প্রকাশিত হবার পর পাঠক সমাজে বিশেষ আবেদন সৃষ্টি করেছিল। তাঁর লিখিত অন্যান্য প্রকাশিত গ্রন্থাবলীর মধ্যে ‘মন নিয়ে খেলা’, ‘সাজানো বাগান’ ও ‘মহুয়া মিলন’ উল্লেখযোগ্য।এদিকে, ধীরাজ ভট্টাচার্য পুলিশে চাকুরীরত অবস্থায় টেকনাফ থানায় থাকাকালীন সে সময় মাথিন নামে এক জমিদারের মেয়ের প্রেমের পড়েন। চাকুরী থেকে চলে আসার সময় তাকে না বলে আসায় তিনি দুঃখ কষ্টে মারা যান। বিষাদের কষ্ট এবং বেদনা-বিধুর প্রেমের বহুল আলোচিত সেই ঘটনার স্মৃতি ধরে রাখতে টেকনাফ থানা প্রাঙ্গণের পাতকুয়াটির নামকরণ হয় ঐতিহাসিক মাথিনের ক‚প।
কালজয়ী এ চিত্রাভিনেতা ও সাহিত্যিক ১৯৫৯ সালের ৪ মার্চ চুয়ান্ন বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
১৩ views