সারোয়ার হোসেন তানোর প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে নানা কৌশলে নিম্নমানের সার পাচার হয়ে তানোরে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তানোরে চলছে সার নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড।এই সময়ে সারের ব্যাপক সঙ্কট নিয়ে প্রান্তিক কৃষকদের অভিযোগের শেষ নেই।দিনের পর দিন ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে থেকে মিলছে সামান্য সার।আবার মরের উপর খাড়ের ঘায়ের মত ইউরিয়া সার না লাগলোও নিতে বাধ্য করা হচ্ছে।অথচ প্রয়োজন পটাশ ও টিএসপি সারের।কিন্তু এই সার এখন সোনার হরিনে পরিনত হয়েছে। তবে এই সুযোগে ক্ষুদ্র সার ব্যবসায়ীরা নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও কেশরহাট, ধূরইল, চৌবাড়িয়া থেকে ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে নিম্নমানের পটাশ টিএসসি সার এনে বাড়তি দামে বিক্রি করছেন বলেও একাধিক কৃষকরা নিশ্চিত করেন।কিন্তু এক শো দু শো বিঘা প্রজেক্ট করা চাষিদের কোন সমস্যা নেই । যত সমস্যা ক্ষুদ্র চাষিদের। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার সব মাঠের ধান কাটা শেষ হয়েছে। এখন চলছে আলু রোপনের জন্য জমি তৈরির কাজ।এসময় সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন পটাশ টিএসপি সারের। সেটাই সরকারের দেওয়া নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বাড়তি দাম নিচ্ছে। এদূধরনের সার এখন বিসিআইসির ডিলারদের গুদামে নেই।তারা পটাশ টিএসপির বিপরীতে দিচ্ছে দু পাঁচ বস্তা করে ডিএপি সার।ডিলাররা সাব জানিয়ে দিচ্ছে বরাদ্দ নেই দিতেও পারব না।কিন্তু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কিভাবে বাড়তি দাম দিলেই দিচ্ছে পটাশ টিএসপি। আসলেই ডিলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সার নিয়ে প্রান্তিক চাষিদের সাথে ইদুর বিড়াল খেলা খেলছে।এবার নতুন না প্রতিবার এসময় হয় সারের সঙ্কট। এঅবস্হা শুধু মাত্র প্রান্তিক আলু চাষিদের। যারা গভীর নলকূপের আওতায় প্রায় জমি নিয়েছে ওইসব মৌসুমি বা প্রজেক্ট করা ব্যক্তিদের কোন সমস্যা নেই।কারন একটাই তারা অগ্রিম টাকা দিয়েছে, আর প্রান্তিক চাষিরা আমন ধান মাড়ায় করে এখন টাকা দিচ্ছে। মূলত এজন্যই সিন্ডিকেট বা প্রতারণা চলছে। শুধু তাই না প্রান্তিক কৃষকরা বাড়তি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছে পটাশ টিএসসি সার ।এসব কিনে বিপাকেও পড়তে হচ্ছে।কতদিনের গুদামজাত করা বলাই দুরূহ ব্যাপার।কিন্তু উপায় নেই।নিতেই হবে জমি চাষ করতেই হবে।বুধবারের নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার বিসিআইসির সার ডিলারের কাছ থেকে হেরোতে লাল পলেছিনে ঢাকা ১৫০বস্তা সার চোরাই ভাবে আসে তালন্দ বাজারে।স্হানীয় জনতা আটকিয়ে দেয়।হেরোতে সবই পটাশ সার আছে বলে জানান রনজিত নামের চালক।একথা ছাড়া কিছুই বলেনি তিনি।নিময়িত বলে অহরহ অভিযোগ কৃষকদের।কিন্তু কোন তদারকি নেই। অথচ নিয়ম হচ্ছে এক ইউপি বা পৌর এলাকার জন্য একজন বিসিআইসির ডিলার থাকবে এবং নয় ওয়ার্ডের থাকবে বালাই নাশকের দোকান।যাতে করে সহজেই সবকিছু পায় কৃষক। কিন্তু সবকিছুই হযবরল-এর মত অবস্থা। ব্যাংগের ছাতার মত গড়ে উঠেছে সার বালাইনাশকের।যা সরেজমিনে তদন্ত করলেই পাওয়া।যার কারনেই সার নিয়ে এত কারসাজি বলেও প্রচার রয়েছে।এজন্য স্হানীয় কৃষি দপ্তরের কর্মকর্তাদের দায়ী করেন প্রান্তিক চাষিরা।কৃষকদের অভিযোগ অন্য এলাকার ডিলাররা কিভাবে সার পাই।কেন এউপজেলার ডিলাররা পাইনা,নাকি তারাও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে দিয়ে কৃষক মারার ফাঁদ একেছে।যত সমস্যা কৃষকদের। কেনই বা উদাসীন কৃষি বিভাগ। অবশ্য কৃষি অফিসার শামিমুল ইসলাম উল্টো কৃষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন আমরাতাদের বারংবর বলছি পটাশ টিএসসিপির বিপরীতে ডিএপি সার ব্যবহার করতে।কিন্তু তারা সেটা মানবেনা।আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ডিএপি ব্যবহারের জন্য।তবে সার বরাদ্দের বিষয়ে কিছু না বলে তিনি জানান লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলু চাষ হওয়ার কারনেই এমন অবস্হার সৃষ্টি,এসমস্যা থাকবেনা, নিম্বমানের সারের প্রশ্নই আসেনা,এমন লিখিত অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্হা নেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
৮ views