সোহেল রানা মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ নওগাঁর মহাদেবপুরে ছাগলের হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইজারাদার এর বিরুদ্ধে। শনিবার (২০ নভেম্বর) বেলা দুইটা বেজে পঁয়তাল্লিশ মিনিট। উপজেলা সদরের ছাগলহাটের টোল আদায় পয়েন্টে হট্টগোল দেখে এগিয়ে গেলেন কয়েকজন সাংবাদিক। দেখা গেল একজন ক্রেতা ছাগল কেনার ছাপা রসিদ হাতে নিয়ে আদায়কারিকে টোলের পরিমাণের জায়গায় ৮০০ টাকা লিখতে বলছেন। কিন্তু আদায়কারি তা লিখতে নারাজ! ক্রেতার প্রশ্ন, ‘ছাগলের মূল্যের জায়গায় ১৩,৫০০/- টাকা লেখা হলো, কিন্তু টোলের জায়গা ফাঁকা রাখা হলো কেন? আমি সরকারি রসিদে খাজনা দিব। সেটা লেখে দেন, নাহলে ৮০০ টাকা ফেরৎ দেন।’ বিষয়টি ভিডিও করছিলেন এক সাংবাদিক। সেদিকে তাকিয়ে থমকে গেলেন ইজারাদারের লোকেরা। ‘ভাই আপনাদের ম্যানুয়ালে কি আছে?’ সাংবাদিকের এ প্রশ্নের কোন জবাব না দিয়ে তড়িঘড়ি করে ফেরৎ দেয়া হলো পুরো ৮০০ টাকা। ওই ক্রেতা সদরের লিচুবাগান এলাকার রবিউল ইসলাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাউন্টেন্ডেন্ট জানালেন, বকাপুর গ্রামের ময়েন উদ্দিনের কাছ থেকে ছাগলটি কিনে টোল দেয়ার জন্য ইজারাদারের পয়েন্টে গেলে তারা ১ হাজার ৩০০ টাকা খাজনা দাবি করেন। উভয়ের মধ্যে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে ৮০০ টাকা নিতে রাজি হন। কিন্তু রসিদে সে টাকার পরিমাণ লিখতে অস্বীকার করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার হাটবাজারে টোল আদায়ের রেট হলো প্রতিটি ছাগলের দামের শতকর ৫ ভাগ, তবে ১৫০ টাকার বেশি নয়। টোল আদায়ের এ রেটের সাইনবোর্ড হাটের দর্শনীয় স্থানে টাঙ্গানোর বিধান থাকলেও হাটের কোথাও তা দেখা গেলনা। রবিউল ইসলামের মত আরো অনেক ক্রেতাই একই অভিযোগ করলেন। ছাগলভেদে খাজনা নেয়া হয় ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা। জানতে চাইলে হাটের ইজারাদার এমদাদুল হক বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে দেখেন অন্যান্য হাটেও এভাবে বেশি খাজনা নেয়া হচ্ছে। তাই আমরাও নিচ্ছি।’ তিনি জানান, করোনায় দীর্ঘদিন হাট বন্ধ থাকায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই এই বেশি নেওয়া।স্থানীয়রা সরকার নির্ধারিত রেটে খাজনা আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান মিলন বলেন, অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের দায়ে ইতিপূর্বে দুবার এই হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ইজাদারের জরিমানা করা হয়েছে।‘অভিযোগ আসলে দ্রুত আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি’।