মান্দা থেকে ফিরে সারোয়ার হোসেন,তানোর প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়ন(ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তথা প্রধানমন্ত্রীর মনোনিত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিতর্কিত নেতা ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আলতাজ উদ্দিন প্রামানিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে চ্যালেন্জ করেছে। মনোনয়ন দেন মনোনয়ন বোর্ড ও দলের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।অথচ একজন বিতর্কিত নেতা আলতাজ কি জাদুর বলে এমন দুঃসাহস দেখায়-? অন্যদিকে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলতাজকে নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়, জনমনে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, এলাকায় বইছে নানা গুন্জন, প্রতিনিয়ত এসব গুন্জনের ডালপালা মেলছে,হচ্ছে নেতিবাচক নানা আলোচনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউপি আওয়ামী লীগের এক দায়িত্বশীল নেতা বলেন, বিগত বিএনপি সরকারের সময়ে চৌবাড়িয়া ব্রীজ উদ্বোধনের সময়ে বিএনপির প্রয়াত নেতা ব্যারিষ্টার আমিনুল হকের কাছে থেকে ফুলের মালা নিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেন। আবার আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর রাতারাতি খোলস পাল্টিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ইউপি আওয়ামী লীগের৷ সভাপতি হয়েছেন। এদিকে সংগঠনবিরোধী কর্মকান্ডের জন্য তাকে একবার দল থেকে বহিঃস্কার করা হয়। পরবর্তীতে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের হাতেপায়ে ধরে এবং আর কখানো দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো কাজ করবেন এমন মুচলেকা দিয়ে দলে ভিড়েন। কিন্ত্ত ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হলে তিনি ফের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।এতে নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে আলতাজকে বহিঃস্কারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।জানা গেছে, আগামি ২৮ নভেম্বর ভারশোঁ ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।এদিকে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করে সুমন ও আলতাজসহ প্রায় ১০ জন প্রার্থী মাঠে নামেন এবং সকলে শপথ করেন নৌকা যে পাবে তারা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার পক্ষে কাজ করবেন। তবে আওয়ামী লীগ থেকে সুমনকে নৌকার প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।কিন্ত্ত একদিন পরেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আলতাজ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ভাষ্য, নৌকা প্রতিকের মালিক বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা।তিনি যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই নৌকা প্রতিক দিয়েছেন এটা নিয়ে দ্বিমতের কোনো সুযোগ নাই। এবিষয়ে মন্ত্রী, এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র বা যে কোনো পর্যায়ের নেতার কোনো হাত নেই। স্থানীয়রা বলছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মনোনিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া মানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া বা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেন্জ করা। কিন্ত্ত একজন বিতর্কিত নেতা কি করে দেশের সরকার প্রধান ও দলের সভাপতির বিরুদ্ধে এমন অবস্থান নিতে পারে, এর নেপথ্যেই বা রয়েছে কারা ইত্যাদি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তৃণমুলের নেতাকর্মীদের মনে। ইউপি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, তারা আশাবাদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আলতাজ ও তার মদদদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবেন যা অন্যদের কাছে অন্যদের কাছে দৃস্টান্ত হয়ে থাকবে। যা দেখে অন্যরা শিক্ষা নিবে নইলে আগামিতে এর দেখাদেখি অন্যরা উৎসাহী হয়ে উঠবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে আলতাজ উদ্দিন প্রামানিক এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা স্থানীয় নির্বাচন এখানে স্বতন্ত্র প্রাথী হতে কোনো বাধা নাই। তিনি বলেন, জনগণের দাবির মুখে তিনি প্রার্থী হয়েছেন।
৪ views