রেদোয়ান হাসান সাভার,ঢাকা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ ঢাকার ধামরাইয়ের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এঘটনায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যানসহ ৮ জনকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গেছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে আটকের বিষয়টি স্বীকার না করলেও হাজতে থাকা চেয়ারম্যানের একটি গোপন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।সোমবার রাতে ধামরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াহিদ পারভেজ এক যুবককে মারধরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানসহ ৮জনকে আটকের বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। এর আগে বেলা ১২টার দিকে বালিয়া ইউনিয়নের পূর্ব সূত্রাপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে ভুক্তভোগী যুবক ইসরাফিল হোসেনকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।আটকেরা হলেন, বালিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান ও তার ভাতিজা মো. সিয়াম, আব্দুল মজিদ, তার ছেলে সামছুল হক ও নাতি সিহাব, পশ্চিম সূত্রাপুর মসজিদের সভাপতি মো. মজিবর, রাজন, শামীম, নাছিমা আক্তার এবং রাশেদা বেগম। ভুক্তভোগী যুবকের ভাই রবিউল আউয়াল বলেন, তার ভাই ইসরাফিল একজা ইট ব্যবসায়ী। গেল ইউপি নির্বাচনে সে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের প্রতিপক্ষকে সমর্থন করেছিলো। এরই জেরে আজ বেলা ১২টার দিকে চেয়ারম্যান মজিবর তার লোকজন পাঠিয়ে ইসরাফিলকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে তার ভাইকে সূত্রাপুর বাজারে হাত-পা বেধে লাঠি ও রড দিয়ে বেধরক পেটানো হয়। এসময় স্থানীয়দের খবরে পুলিশের ৪-৫টি গাড়ি উপস্থিত হলে চেয়ারম্যান এলাকার মসজিদে মাইকিং করে আতঙ্ক ছড়ায়। এমনকি যার যা আছে তাই নিয়ে বাজারে হামলা করতে বলে চেয়ারম্যান মজিবর। পরে পুলিশ চেয়ারম্যানসহ তার ৮-৯জনকে লোককে ধরে থানায় নিয়ে যায়। আমি এখন থানায় এসেছি অভিযোগ দিতে। ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াহেদ পারভেজ বলেন, বালিয়া ইউনিয়নে এক যুবককে হাত-পা বেধে বেধরক মারধর করা হয়েছে। আহত যুবককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে আটকের বিষয়ে মামলার পরে জানানো হবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
২ views