মাদারীপুর প্রতিনিধি এস আই ওয়াসিম দৈনিক শিরোমনি: মাদারীপুরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ৪টি ফেরি দিয়ে পারাপার করছে গাড়ি। ফেরি স্বল্পতার কারণে ঢাকাগামী মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। ‘বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচলের নামে চলছে শুধু প্রহসণ! মাত্র ৪ টি ফেরি দিয়ে ১০ ঘন্টা ফেরি সার্ভিস চালু রাখায় প্রতিদিন শত শত গাড়ি পদ্মা পার হতে না পেরে ফিরে যাচ্ছে। দূরবর্তী জেলা থেকে আসা ছোট যানবাহনগুলো ঘন্টার পর ঘন্টা ঘাটে অপেক্ষা করে বিকেলে যখন ফেরিতে উঠতে ব্যর্থ হচ্ছে তখন বিকল্প নৌরুটে যাওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। রাতে ঘাটের টার্মিনালে থাকতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এসকল গাড়ির চালক ও যাত্রীদের। গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সও ফেরিতে উঠতে ব্যর্থ হচ্ছে। জরুরী অবস্থায় দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছুটতে হচ্ছে তাদের। এই অবস্থায় ফেরি সার্ভিসে সময় ও ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হোক নয়তো পুরোপুরি বন্ধ রাখা হোক ফেরি চলাচল এমনই দাবী করেছেন যাত্রীরা।বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বর্ষা মৌসুমে স্রোতের তীব্রতার কারণে পদ্মাসেতুর পিলারে একাধিকবার ফেরির ধাক্কা লাগে। এরপর থেকেই ফেরি চলাচল ব্যহত হতে থাকে। দূর্ঘটনা এড়াতে গত ১৮ আগষ্ট ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর টানা ৪৭ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৫ অক্টোবর সীমিত আকারে ফেরি চালু হয়। মাত্র ৬ দিন চলার পর স্রোত বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে আবারো ফেরি বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। টানা ২৮ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৮ নভেম্বর থেকে পুনরায় ফেরি চালু হয় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে। তবে সকাল ৬ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত মাত্র ৪ টি ফেরি চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এবং ভারী যানবাহন পারাপার বন্ধ রেখে শুধু হালকা যানবাহন পার করা হয়। ফেরি চালুর পর এই নৌরুট ব্যবহারকারীদের মনে আশার সঞ্চার হলেও কিছুদিন যেতেই দূর্ভোগের শিকার হতে থাকে যাত্রীরা। প্রতিদিন অসংখ্য ছোট যানবাহন ঘাটে এলেও ফেরির স্বল্পতার কারণে পর্যাপ্ত সংখ্যক যানবাহন ফেরি পারাপার হতে না পেরে ফিরে যাচ্ছে ঘাট থেকে।বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন,‘ফেরি চলাচলে সময় এবং সংখ্যা বাড়ানোর কোন সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। হবে কি না তাও জানা নেই। তবে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় বিষয়টি।
৪ views