আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতে নিয়মিত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডিজিসিএ।
ডিজিসিএ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানিয়েছে, যেসব দেশের সঙ্গে এয়ার বাবল চুক্তি রয়েছে ভারতের, সেসব দেশে ফ্লাইট চলাচলে কোনো বাধা নেই। ৩১ জানুয়ারির পর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলেও সব রুটে নাও চলতে পারে ভারতীয় যাত্রীবাহী উড়োজাহাজগুলো। করোনা সংক্রমণ এড়াতে বাছাই করা কিছু রুটে চলতে পারে ভারতের বিমান। এছাড়া, জানুয়ারির ৩১ তারিখ পর্যন্ত যাত্রীবাহী বিমানের ফ্লাইট বন্ধ থাকলেও বরাবরের মতো চালু থাকবে পণ্যবাহী আন্তর্জাতিক কার্গো ফ্লাইটগুলো।
বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারতের সরকার। অবশ্য তার কিছুদিন পর এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে শর্তসাপেক্ষে কয়েকটি দেশের সঙ্গে ফ্লাইট যোগাযোগ চালু করে দেশটি।
মহামারির কারণে প্রায় দু’বছর স্থগিত রাখার পর গত ২৬ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে ডিজিসিএ জানিয়েছিল, আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ফের শুরু করছে ভারতের সরকার।
এর মধ্যেই গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয় ওমিক্রন। তার দু’দিন পর এই ধরনটিকে উদ্বেগজনক ধরন হিসেবে তালিকভুক্ত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ইতোমধ্যে বিশ্বের ৫৭ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন।
ডিজিসিএর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দিল্লি বিমানবন্দর সব দেশের প্রধান সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা টেস্টে বুথ স্থাপন করা হবে এবং বাইরের দেশ থেকে ভারতে এসে পৌঁছানো সব বিদেশি যাত্রীকে বিমানবন্দর ত্যাগের আগেই বাধ্যতামূলকভাবে কোভিড টেস্ট করতে হবে।