1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন

কুয়েট শিক্ষকের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন

শেখ তোফাজ্জেল হোসেন দৈনিক শিরোমণিঃ
  • আপডেট : বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১

শেখ তোফাজ্জেল হোসেন দৈনিক শিরোমণিঃ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রাম এলাকা থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাতের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।সেখানে খুলনা মহানগর পুলিশের খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবির কুমার বিশ্বাস, ওসি (তদন্ত) ও তদন্ত কর্মকর্তা শাহরিয়ার হাসান, কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার, স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি, ড. সেলিম হোসেনের বাবা শুকুর আলিসহ এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনাকে হত্যাকা- বলে অভিযোগ করে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি জানিয়েছে সেলিমের স্বজন ও এলাকাবাসী। এ সময় সেলিমের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন সেলিমের স্বজন ও এলাকাবাসী। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী সেলিমের রহস্যজনক মৃত্যু মানতে পারছেন না কেউ। সবাই এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ জানায়, তদন্তের স্বার্থে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাতের উপস্থিতিতে কবর থেকে সেলিম হোসেনের লাশ তোলা হয়। সেখানে চিকিৎসক, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের খানজাহান আলী ও কুমারখালী থানার পুলিশ কর্মকর্তা এবং সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এরআগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক হিসেবে চিহ্নিত করায় বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। বিষয়টি নিয়ে কুয়েটের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করার জন্য থানায় বিষয়টি জিডিভুক্ত করা হয়েছে। এই জিডির পরিপ্রেক্ষিতে খানজাহান আলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহরিয়ার হাসানের ওপর তদন্তের ভার ন্যস্ত করা হয়। যেহেতু লাশ দাফন হয়ে গেছে তাই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের একটি মাত্র উপায় লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা। এজন্য বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে। সে কারণে ওসি (তদন্ত) মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ময়নাতদন্তের আবেদন করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ড. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। যে কারণে আদালত মরদেহ কবর থেকে তোলার অনুমতি দেননি। আদালত থেকে জানানো হয়, বিষয়টি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ারভুক্ত। এজন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জানানো হয়। মরদেহ যেহেতু কুষ্টিয়াতে দাফন করা হয়। লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেলার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করা হয়। ৬ ডিসেম্বর খুলনা জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদারের পাঠানো একটি চিঠি হাতে পান জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনগত দিকগুলো খতিয়ে দেখেন এবং লাশ উত্তলনের ব্যবস্থা করেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক। গত ১৪/১২/২১ তারিখ মঙ্গলবার বিকেলে খুলনা খানজাহান আলী থানা থেকে একটি দল কুষ্টিয়া পৌঁছায়। সূর্য অস্ত যাওয়ার কারণে তারা কবরস্থান পর্যন্ত যাননি। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত জানান, খুলনা থেকে পুলিশের একটি দল কুষ্টিয়া এসেছে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রামে কবর থেকে ড. সেলিম হোসেনর লাশ উত্তোলন করা হয়। প্রসঙ্গত, ৩০ নভেম্বর বিকেল ৩টায় ক্যাম্পাসের পাশে ভাড়া বাসায় মারা যান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. সেলিম হোসেন (৩৮)। ১ ডিসেম্বর কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রামে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ দাফন করা হয়।

Facebook Comments
১৬ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি