এ অঞ্চলে স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ ও ভারত একে অন্যকে সাহায্যে করবে। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সোনারগাঁও হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সফররত ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ এক বৈঠকে এনিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের এসব জানান।
তিনি বলেন, আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শান্তিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের আমন্ত্রণে বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা এসেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত যোগাযোগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক। এ সম্পর্কের ফলে এ অঞ্চলে একটি শান্তি অব্যাহত রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে রোহিঙ্গাদের কথা বলেছি। দুই দেশের যে সমস্যাগুলো রয়েছে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা বলেছেন। ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন খাতে যে অংশীদারিত্ব রয়েছে তা নিয়ে কথা বলেছেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যায় শোক জানিয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, বঙ্গবন্ধু তার নিজের অনুপ্রেরণা। এ কথা শুনে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার হত্যার পর ভারত এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাকে ও তার পরিবারকে আশ্রয় দিয়েছেন এ জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। দুই দেশের আঞ্চলিক সহযোগিতা এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে এবং তা অনেক দূর যাবে। দারিদ্রতা দূর করতে দুই দেশের সহযোগিতা আরও দরকার।
দুর্গাপূজার সময় বাংলাদেশে যে সমস্যা হয়েছিল তা সমাধানে ভারতের রাষ্ট্রপতি ধন্যবাদ জানালে প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিসেবে কাউকে ট্রিট করা হয় না, সমান অধিকারে নাগরিক অধিকার দেওয়া হয়।