রেদোয়ান হাসান সাভার প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ শ্বশুরবাড়িতে ‘নির্যাতনের কারণেই’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের ছাত্রী এলমা চৌধুরী মেঘলার মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে তার পরিবার ও এলাকাবাসী। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকার ধামরাইয়ের থানা রোড এলাকায় উপজেলার বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। এতে ধামরাইয়ের বিভিন্ন সংগঠন ও এলমার বাবাসহ আত্মীয় স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।এলমার বাবার বাড়ি ধামরাই পৌরসভা এলাকায়। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। কয়েকদিন আগেই কানাডাপ্রবাসী স্বামী ইফতেখার আবেদীন দেশে ফেরেন। ঢাকার বনানীতে স্বামীর বাসায় মঙ্গলবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়। এলমার শরীরে ‘আঘাতের অনেক চিহ্ন দেখা গেছে’। তবে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন।মানববন্ধনে এলমার ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর কথা তুলে ধরে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন তার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী। মেয়ের শোকে কান্নায় জর্জরিত হয়ে তিনি বলেন, আমার সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার পড়াশোনায় বাঁধা দিচ্ছিলো। এটা না মানতেই এলমার ওপর নির্যাতন নেমে আসে। আমরা ডিভোর্সের কথাও বলেছিলাম। কিন্তু সে নির্যাতন সহ্য করতে করতে জীবনটাই দিতে হলো।ধামরাইয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নডানা পরিবারের সভাপতি ও নিহত এলমার ফুপাতো ভাই শাহরিয়ার ফেরদৌস রানা বলেন, আমার বোনের শরীরের জখম দেখে চমকে গেছি, সারা শরীরে দাগ আর দাগ৷ এমন নৃশংস হত্যার বিচার চাই।স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অংকুরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মঞ্জুরুল হক রনি বলেন, এ জঘন্য ঘটনার বর্ণনা শুনে আমি বাকরুদ্ধ৷ আমি শুনেছি সে তার স্বামীর সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচিত হয়েছে৷ ফেসবুক ব্যবহারে আরোও সচেতন হতে হবে। এলমা হত্যার বিচার চাই। মানববন্ধনে ধামরাইয়ের সামাজিক সংগঠন অংকুর, রক্ত সৈনিক, নিরাপদ সড়ক চাই, স্বপ্নডানা, সচেতন নাগরিক সমাজ, ইচ্ছে আলো, কালের কন্ঠের শুভ সংঘসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়।
০ views