রেদোয়ান হাসান সাভার,ঢাকা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ দেশ গঠনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার স্বীকৃতি হিসেবে তরুণদের ১৫ সংগঠন হাতে পেলো জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২১। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলা আয়োজিত এবারের আসরে বিজয়ীদের হাতে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন জাতির পিতার দৌহিত্র ও সিআরআই ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।এবারের আসরে তরুণদের উদ্দেশ্যে পূর্বে ধারনকৃত বক্তব্য প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়াও পূর্বে ধারনকৃত বক্তব্য প্রদান করেন জাতির পিতার দৌহিত্র ও সিআরআই চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ।
সাম্প্রদায়িক বৈষম্য হ্রাস ও অধিকার সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা, দক্ষতার উন্নয়ন, সর্বব্যাপী শিক্ষা, বিশেষভাবে সক্ষমদের (প্রতিবন্ধী) জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, সাংস্কৃতিক বিপ্লব, উদ্ভাবক, খেলাধুলা এবং ফিটনেস, জনসচেতনতা সৃষ্ট, লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাসসহ আরও বেশ কিছু বিভাগে এবার আবেদন আহ্বান করা হয় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের জন্য। সেই আবেদনে সারা দিয়ে নিজেদের উদ্যোগগুলোর কথা জানায় ৭০০টিরও বেশি সংগঠন।১২ সদস্যের তারকাখচিত জুরি বোর্ড সেখান থেকে অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত করে ৩১ সংগঠনকে। এই বোর্ডে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, ক্রিকেটার ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা, অভিনেত্রী জয়া আহসান, সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, উদ্যোক্তা আছিয়া খালেদা নীলা ও জারা মাহবুব, পরিবেশ সংরক্ষণবাদী শাহরিয়ার সিজার রহমান, চলচ্চিত্রকার রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত, টেলিভিশনের সংবাদ পাঠক তাসনুভা শিশির, উদ্যোক্তা স্বর্ণলতা রায় এবং সাংবাদিক পরিমল পালমা। তাদের এই ৩১ সংগঠন থেকে ১৫ জনের হাতে তুলে দেয়া হয় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।এবারের জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের সম্পর্কে জেনে নেই এবার: ১. অমিয় প্রপান চক্রবর্তী (আরকা) – ধ্রুবতারা যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন (ডিওয়াইডিএফ): ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত ধ্রুবতারা যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন (ডিওয়াইডিএফ) গত ২১ বছর ধরে দেশে যুব ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে কাজ করছে। ৪৪টি জেলায় তাদের কার্যক্রমে ৪৮ হাজার যুবক সহযোগিতা পেয়েছে। ২. মোহাম্মদ শামস জাব্বার – টেক একাডেমি: ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত টেক একাডেমীর লক্ষ্য হল গেমিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষামূলক তথ্য ছড়িয়ে দেয়া। ‘৪র্থ শিল্প বিপ্লব’-এর নেতৃত্ব দেয়ার জন্যে ৮ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের লালন-পালন করা, অ্যানিমেশন, কোডিং, গেম ডেভেলপমেন্ট এবং রোবটিক্সের মতো ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির দক্ষতা শিখিয়ে থাকে। এরইমধ্যে ১০০০ হাজারের মতো তরুণ এর সুবিধা পেয়েছে। টেক একাডেমি জাকার্তা এবং সান ফ্রান্সিসকোতে তারা কাজ করছে। একাডেমিটি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। ৩. শিরিন আক্তার আশা – আসমানী যুব নারী ফাউন্ডেশন: কিশোরী ও তরুণীদের জন্য ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় আসমানী যুব নারী ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠাতা নিজে বাল্যবিবাহ থেকে বেঁচে যাবার পর এই প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ২৯৪টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে। এছাড়া কর্মশালার মাধ্যমে ২৫৯৫ জন নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। স্বল্পমূল্য স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি করে কারখানাও বানিয়েছে এই প্রতিষ্ঠান।
৪. এসরাত করিম – অমল ফাউন্ডেশন: ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত অমল ফাউন্ডেশন দেশের চরাঞ্চলে জীবিকা, স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষার প্রসারে কাজ করছে। তাদের মাধ্যমে ৫২ হাজারের বেশি মানুষ সুবিধা পেয়েছে। এছাড়া তাদের সামাজিক ব্যবসা আযোয়ায় নারীদের মাধ্যমে তৈরিকৃত পণ্য বিক্রি হরে ৫২ হাজার ইউএস ডলার আয় করেছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রান্তিক শিশুদের ৩টি স্কুল পরিচালনা করছে। ফোর্বস সাময়িকীতে এশিয়ায় অনূর্ধ্ব ৩০ প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। ৫. মাশরুর ইশরাক – থার্ড আই: ‘শেয়ার দ্য রেসপনসিবলিটি’ এই স্লোগানকে ধারণ করে ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় থার্ড আই। দৃষ্টিশক্তিহীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে সেচ্ছাসেবী এই সংগঠনের মূল কার্যক্রম। এ ধরণের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অডিও বই, ক্লাস রেকর্ড, কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, উচ্চারণ প্রতিযোগিতা সহ কারিগরি প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা উন্নয়নের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে থার্ড আই। এই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময় স্টেনোগ্রাফারের ব্যবস্থাও করছে সংগঠনটি। দৃষ্টিশক্তিহীন ৪০০ শিক্ষার্থীকে সহায়তা করেছে সংগঠনটি। ৬. সানজিদুল আলম সেবন শান – ইকোভেশন বাংলাদেশ: ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ইকোভেশন বাংলাদেশ একটি গবেষণা ও উদ্ভাবন-ভিত্তিক সামাজিক উদ্যোগ। স্বেচ্ছাসেবী এই পদ্ধতির মাধ্যমে ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ উপকার পেয়েছে। এটি রোহিঙ্গা শরণার্থী সহ প্রায় ৯০ হাজার মানুষকে আলোর সুবিধা, সৌর বাতি ও রাস্তার আলোর ব্যবস্থা করে দিয়েছে। করে দিয়েছে। এছাড়া ৩০০০ সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তি প্রশিক্ষণ নিয়ে সোলার ইঞ্জিনিয়ার হয়েছেন। ইকোভেশন বাংলাদেশের বিনামূল্যে ২০টির বেশি সৌর-চালিত পানি শোধনাগার থেকে ৫০ হাজার মানুষ বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে। এছাড়া পুনঃব্যবহারযোগ্য প্যাড তৈরিতে শতাধিক নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ৭. গিরিধর দে – বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র: ‘বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র’ ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে দেশের ইতিহাসের বিকৃতি রোধে ঐতিহাসিক দলিলাদি সংগ্রহ করে আসছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাকালীন চেতনা বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি। এখন পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি ইতিহাস ভিত্তিক ছবি সংগ্রহ ও প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। ভবিষ্যতে ডিজিটাল মিউজিয়াম চালু করতে চায় তারা। ফেসবুকে এই সংগঠনটির ফলোয়ার রয়েছে ১১ লাখ এবং তার প্রতিটি পোস্টের রিচ প্রায় ১ লাখ। ৮. শাহানা আফরিন দিনা – স্টেপ এহেড: ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ”স্টেপ এহেড” কর্মসূচির মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলের প্রান্তিক কিশোরী-তরুণী ও নারীদের নিয়ে কাজ করা হয়। এর আওতায় নারী স্বাস্থ্য, হাইজিন কিট বিতরণ কর্মসূচি ও নারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি হস্তশিল্প তৈরি, সেলাই, গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ের প্রশিক্ষণ ও শীতলপাটি তৈরির বিষয়ে প্রশিক্ষণও দেয়। এ ছাড়া হোম-ফ্যাক্টরি নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ঘরে বসেই পরিবেশ বান্ধব পণ্য তৈরি ও বিপণনের পথ দেখিয়ে নারীদের আয় করার সুযোগ করে দেয় তারা। ৯. ফাইরুজ ফাইজাহ বেথার – মনের স্কুল: তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় মনের স্কুল। এই সংগঠনটির পক্ষ থেকে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় কাউন্সিলিং প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন সভা-সেমিনারের মাধ্যমেও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার শিক্ষা প্রদান করা হয়। ২০১৯ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩০ শিক্ষার্থীকে নিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যের খুঁটিনাটি বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করে। এই সংগঠনের মাধ্যমে সমাজের গতানুগতিক ধারার কারণে মানসিক চাপে থাকা প্রায় ১১ হাজার তরুণ মানসিক স্বাস্থ্য সেবা লাভ করেছে। দেশের ৩৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই সংগঠনের প্রতিনিধি রয়েছে যেখানে সফলতার সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে মনের স্কুল। ১০. লামিয়া তানজিন তানহা – ট্রান্সএন্ড: তরুণদের দ্বারা পরিচালিত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সএন্ড ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। তৃতীয় লিঙ্গ এবং লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাসের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা এই সংগঠনটি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্য, ক্ষমতায়ন ও উদ্যোক্তা তৈরির জন্য কাজ করছে। অনলাইন ও অফলাইন উভয় ক্ষেত্রে তাদের রয়েছে বেশ কিছু অসাধারণ অনুষ্ঠান। যার মাধ্যমে দক্ষতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সচেতনতা কার্যক্রমও পরিচালনা করছে তারা। ট্রান্সএন্ড ৩ লাখ ৪৫ হাজারের বেশি মানুষের মাঝে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের মাধ্যমে ১৮৫ জন তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিক প্রশিক্ষণ লাভ করেছে যাদের সমাজে ‘হিজড়া’ বলে সম্বোধন করা হয়। এ ছাড়াও ১২৪ জন তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিককে তারা মূল ধারার কর্মক্ষেত্রে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছে। ১১. ইউসুফ ইবনে ইয়াকুব – রিফ্লেক্টিভ টিনস: ২০১৩ সালে আত্মপ্রকাশ লাভ করে রিফ্লেক্টিভ টিনস। উদীয়মান তরুণদের সৃজনশীলতার সর্বোচ্চ বিকাশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠান। বিগত ৮ বছরে এক লাখের বেশি সৃজনশীল কিশোর-কিশোরীকে প্রভাবিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাজ্য, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং ভুটানসহ বেশ কিছু দেশের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে উদীয়মান তরুণদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে তারা। ১২.রাতুল দেব – জেন ল্যাব: তিনটি বিষয়কে সামনে নিয়ে ২০১৫ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে জেনল্যাব। মূলত শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সমাজের বৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা এই সংগঠনটি এখন পর্যন্ত ৩ লাখ মানুষের কাছ ধর্ম ও সাম্প্রদায়িক শান্তির কথা প্রচার করে যাচ্ছে তাদের পরামর্শ কার্যক্রমের মাধ্যমে। এ ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়েও কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। ‘পিস ক্যারাভান’ এই সংগঠনের নতুন কার্যক্রম। এই উদ্যোগের আওতায় তরুণ ও পেশাজীবীদের কেন্দ্র করে শিল্প চর্চা ও ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে সমাজে শান্তির বার্তা পৌঁছে দেয়া হয়।
13.আবু হাসান (জয়তা পলি) – দিনের আলো হিজরা উন্নয়ন মহিলা সংস্থা: ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের উন্নয়নে দিনের আলো হিজরা উন্নয়ন মহিলা সংস্থা ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর থেকে তারা হিজরা সম্প্রদায়কে উন্নয়নের মুল ধারায় যুক্ত করতে কাজ করছে। মূলধারার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে হিজরা শিশুদের পড়াশোনা করার সুযোগ ও ট্রান্সজেন্ডারদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এর মাধ্যমে অনেকেই উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠেছে। তাদের ৯০০ সুবিধাভোগী রয়েছে। ১৪.রিগান কুমার কানু – বাংলাদেশ চা সম্প্রদায় ছাত্র যুব পরিষদ: ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ চা সম্প্রদায় ছাত্র যুব পরিষদ চা শ্রমিকদের মধ্যে নানা সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে থাকে। এরমধ্যে যুবকদের মাঝে মাদকবিরোধী লিফলেট, পোস্টার বিতরণ করে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে কুইজ প্রতিযোগিতা, ভর্তি পরীক্ষায় আবাসনে সহায়তা করে। ১৫.মো. নুরুল আলম – মেধাবী কল্যাণ সংস্থা (এমকেএস): ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত মেধাবী কল্যাণ সংস্থাটি (এমকেএস) আর্থিক কারণে পড়াশোনা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সহায়তা দিয়ে থাকে। এর আওতায় চিলমারী, কুড়িগ্রামের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের খাদ্য, বস্ত্র ও আর্থিক বৃত্তি দেয়া হয়। এছাড়া প্রাথমিক পর্যায় থেকে অতিরিক্ত পাঠদানের মাধ্যমে তারা ১৪ জন শিক্ষার্থীকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সহায়তা ও ৫ জনকে নার্সিং ইনস্টিটিউটে ভর্তিতে সহায়তা করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সহায়তায় ২ তরুণী বিকেএসপিকে ভর্তি হয়েছে। এছাড়া তারা আরও ৩৭৬ জনকে সহায়তা করছে।
২ views