সেলিম রেজা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের বাতিয়ারপাড়া এলাকায় ফসলি জমির মাটি কেটে এম.জেড.বি. ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অপর দিকে নরিনা ইউনিয়নের নাববিলা চড়া থেকে ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়।কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, এতে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হবে। বীজ রোপণের পর এই অংশ থেকেই ফসল প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান গ্রহণ করে বড় হয়। এটাকে টপ সয়েল বলে। এই টপ সয়েল একবার কেটে নিলে সে জমিতে আর প্রাণ থাকে না।সরেজমিনে দেখা গেছে, কায়েমপুর ইউনিয়নের বাতিয়াপাড়া গ্রামে মাটি কাটার শ্রমিক দিয়ে প্রায় তিন ফুট গভীরতায় ফসলি জমির মাটি কেটে ট্রাকে বোঝাই করা হচ্ছে। এ মাটি কোথায় যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে মাটি কাটার কাজ করার শ্রমিকরা জানান, পাশের অবস্থিত শাহজাহান আলীর সত্ত্বাধিকারী এম.জেড.বি’ নামের একটি ইটভাটায় মাটি নেওয়া হচ্ছে।এ ব্যাপরে এম.জেড.বি’ ইটভাটার সত্ত্বাধিকারী শাহজাহান আলীর ছেলে মোঃ জাহিদ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তাকে মাটি কাটার অনুমতি আছে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন ইটভাটার জন্য ফসলি জমির মাটি কাটার অনুমতি কি আর দেয়। সকল ইটভাটা যে ভাবে কাটে আমিও সেভাবেই কাটছি,,এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, এখনি খোঁজ নিচ্ছি। খোঁজ নিয়ে দ্রুত উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবগত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।অপর দিকে নারিনা ইউনিয়নের নাববিলা গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের চড়ায় ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। কে এই ফসলি জমির মাটি কাটছে এমন প্রশ্নের জবাবে মাটি কাটার শ্রমিকরা বলেন মশিপুর মাদ্রাসার শিক্ষক নজরুল। মাটি কোথায় যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে শ্রমিকরা বলেন বিভিন্ন ইটভাটায়।এ বিষযে মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ নজরুল এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার কথার বলার মত সময় নেই বলে ফোন কেটে দেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সরজমিনে দেখে উদ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিয়াকত সালমান বলেন, বিষয়টি আপনাদের কাছ থেকে জানলাম, আমি তফশীলদারকে পাঠিয়ে দিয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
৩ views