হলি সিয়াম শ্রাবণ, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় ২৬ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থী ও সর্মথদের মধ্যে উত্তেজনা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যে উপজেলার মইলাকান্দা, বোকাইনগর ও সহনাটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, মোটরসাইকেল ভাঙচুর, নৌকা অগ্নিসংযোগ ও নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে।জানা গেছে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বোকাইনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব উল্লাহ ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (আ.লীগ বিদ্রোহী) আল মুক্তাদির শাহীনের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় নৌকার সমর্থকরা ইউনিয়নের বাসাবাড়ি এলাকায় শাহীনের ঘোড়া প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
আল মুক্তাদির শাহীন বলেন নৌকার প্রার্থী হাবিব উল্লার ছোট ভাই হাজী রুকন উদ্দিনের (৪২) নেতৃত্বে আমার কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। হামলায় আমার সমর্থক আবু হেনা মোস্তফা কামাল আহত হয়।হাবিব উল্লাহ বলেন মঙ্গলবার রাতে নাহড়া বোর্ডবাজার এলাকায় নৌকার নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করে শাহীনের সমর্থকরা আর বাসাবাড়ি এলাকায় শাহীনের নির্বাচনী কার্যালয় কে বা কারা ভাঙচুর করেছে এই বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।এর আগে গত সোমবার বোকাইনগর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব উল্লাহ ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম খান শহীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এসময় বেশকয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।অপরদিকে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে সহনাটি ইউনিয়নের ঘাটেরকোনা গ্রামে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সালাহ উদ্দিন কাদের রুবেলের নৌকা প্রতীকে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। রুবেল সাংবাদিকদের জানান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী সমর্থকরা নৌকার জনপ্রিয়তার ঈর্ষান্বিত হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।সহনাটি ইউনিয়ন পরিষদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থী শামছুজ্জামান জামাল বলেন আমি শান্তিপ্রিয় ও সামাজিক মানুষ। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী তার সমর্থক দিয়ে নৌকা পুড়িয়ে মিথ্যা নাটক শুরু করে আমার ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে।এদিকে উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ প্রার্থী জোসেফ উদ্দিন জর্জ ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াদুজ্জামান রিয়াদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ককটেল বিস্ফোরণ, নৌকা প্রতীকের র্কাযালয়ে ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গৌরীপুর রিয়াদের নাম উল্লেখ ৪৯ জন অজ্ঞাত ১৫০ জন সমর্থকদের বিরুদ্ধে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।গৌরীপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বলেন বোকাইনগর ও সহনাটি ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় থানায় এখনো কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত ও অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশ মাঠে তৎপর রয়েছে।