পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ দিয়ে প্রায় দেড় বছর পর বাংলাদেশের ক্রিকেট মাঠে ফিরেছে দর্শক। সে দুই সিরিজে ধারণক্ষমতার অর্ধেক টিকিট বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। করোনাভাইরাসের দুই ডোজ টিকা নেওয়া থাকার শর্তে মাঠে বসে খেলা দেখতে পেরেছেন দর্শকরা।
এবার ঘরের মাঠে পরবর্তী ক্রিকেটোৎসব বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে শুরুর কথা রয়েছে বিপিএলের অষ্টম আসর। ঘরোয়া ক্রিকেটে সবচেয়ে জমজমাট এই টুর্নামেন্টেও মাঠে দর্শক প্রবেশের সুযোগ রাখছে বিসিবি।
শুধু তাই নয়, গত সিরিজের চেয়ে বেশি টিকিট বিক্রির কথা ভাবছেন তারা। অর্থাৎ ধারণক্ষমতার অর্ধেকেরও বেশি দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হতে পারে এবার। আজ রোববার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
তিনি বলেছেন, ‘দর্শকের ব্যাপারে আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে পঞ্চাশ ভাগ তো থাকবেই। এর চেয়ে বাড়তেও পারে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এ ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। টুর্নামেন্ট শুরু হতে এখনও দুই সপ্তাহের ওপরে আছে, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এছাড়া যারা মাঠে না যাবেন, তাদের জন্য দুইটি টিভি চ্যানেলেও বিপিএল সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। বিসিবির প্রধান নির্বাহীর ভাষ্য, ‘এরই মধ্যে এবারের আসরের সম্প্রচার স্বত্ব দেওয়া আছে। ২০২২ সালের আসরের খেলাগুলো দুইটা চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করবে।’