শেখ তোফাজ্জেল হোসেন দৈনিক শিরোমণিঃ হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে নবম তম অভিযান পরিচালনা করে রকেট প্রপেলড গ্রেনেড , বুস্টার ও বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধারসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) সদস্যরা। অদ্য ২৭/১২/২০২১ ইং বিকেল ৪টায় দিকে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান।তিনি জানান, রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে আবেল ত্রিপুরা অমিত নামে খাগড়াছড়ির এক যুবককে আটক করেন তারা। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম মুরাদ আলি ও চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলী আশরাফসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সাতছড়িতে অভিযান চালিয়ে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাতছড়ি উদ্যানের গহীন থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এর আগে, ২০১৪ সালের ১লা জুন থেকে ১৭ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩য় দফায় অভিযান চালিয়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লাঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান এবং প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল গোলাবারুদ উদ্ধার করে র্যাব।একই বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে চতুর্থ দফায় প্রথম পর্যায়ে উদ্যানের মাটি খুঁড়ে ৩টি মেশিনগান, ৪টি ব্যারেল, ৮টি ম্যাগজিন, ২৫০ রাউন্ড গুলি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ৮টি বেল্ট ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রেডিও উদ্ধার করা হয়। পরে ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০ রাউন্ড, রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়। ৫ম দফায় ২০১৮ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি সাতছড়িতে অভিযান চালিয়ে ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার করা হয়। ষষ্ঠ দফায় ২০১৯ সালের ২৪শে নভেম্বর ১৩টি রকেট লঞ্চারের শেলসহ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। গত ২রা মার্চ অভিযান পরিচালনায় ১৮টি ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট গোলা উদ্ধার করে বিজিবি। সবশেষ ১৩ আগস্ট হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন একটি ব্রিজের পাশ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় নয়টি একনলা বন্দুক, তিনটি পিস্তল ও ১৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে বিজিবি। আটক অমিতের সঙ্গে আরো কেউ জড়িত কি না সে ব্যাপার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।