সারোয়ার হোসেন তানোর প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার ঠাকুর পুকুর গ্রামে মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ধোঁয়াশা ও চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। জানা গেছে,আজ(২৮ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার সকালে তানোর পৌর এলাকার ঠাকুর পুকুর গ্রামের সাবিনা নামের এক মহিলার বাড়িতে মাদক কেনা-বেচা করার অভিযোগে নাম পরিচয় না দিয়ে সরকারি লোক বলে বাড়িতে প্রবেশ করে পুরো বাড়ির খাট,আলমারি, ডেসিনটেবেল,ওয়ারড্রব উথাল পাথাল করেও কোন মাদক উদ্ধার করতে পারেনি তাঁরা। এতে করে মাদক না পেয়ে তাঁরা বাড়ির আসেপাশের প্রতিবেশীদের উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যান। ফলে সরকারি লোক পরিচয় প্রদানকারীদের এমন চাঞ্চল্যকর কান্ডে এলাকা জুড়ে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য ও বইছে উত্তেজনা। ঠাকুর পুকুর গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশকিছু মহিলারা জানান, এই পাড়ার বর্তমান কুখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী একরামের স্ত্রী শরিফা বেগম ও শরিফুল ইসলামের স্ত্রী কিখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী সোলেনুর। তারাঁ রাতদিন প্রকাশে তাদের ছেলে মেয়ে দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হেরোইন ইয়াবা ও দেশীয় চুলাই মদ বিক্রি করে যাচ্ছেন। অথচ তাদেরকে ধরা বাদ দিয়ে যারা মাদক ব্যবসা থেকে ফিরে এসে মানুষের কাজ করে জীবন যাপন করছে বার বার তাদেরকেই বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। নেওয়া হচ্ছে মাদক ব্যবসার ভয় দেখিয়ে টাকা পয়সা। বেশকিছু দিন আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে সাড়ে ছয় গ্রাম হেরোইনসহ সোলেনুরকে আটক করা হয়। কিন্তু ফের সে জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে আবারো মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ ধরার কৌশল খুঁজে পাচ্ছেনা প্রশাসন বলেও চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। ভুক্তভোগী সাবিনা আক্তার জানান,আমি একসময় দেশীয় চুলাই মদ বিক্রি করতাম কিন্তু আমার নামে কয়েকটি মামলা হওয়ায় আমি সব ছেড়ে দিয়ে মানুষের কাজ কাম করে জীবন যাপন করছি। তার পরেও বারবার বিভিন্ন বাহিরের সরকারি প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে ঘুরেফিরে আমার বাড়িতেই অভিযানের নামে হয়রানির স্বীকার করা হচ্ছে আমাকে। আমি মাদক ব্যবসার জঘন্য পথ থেকে ফিরে সুন্দর সচ্ছল জীবন যাপন করছি। তাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি আমি কোন মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত নাই তাই যেন আমাকে কোনরকম বিভ্রান্তির জন্য হয়রানির স্বীকার না করা হয় বলে অনুরোধ জানান তিনি।
৬ views