এর প্রেক্ষিতে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আইনগত কোনো সমস্যা না থাকলে লালখান বাজারের নাম পরিবর্তন করে শহীদনগর রাখা হবে। তিনি সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটির (নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিষয়ক) মাধ্যমে নাম পরিবর্তনের বিষয়ে প্রস্তাবনা আনার পরামর্শ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল বলেন, যেহেতু লালখান বাজার সর্বাধিক শহীদের জায়গা, তাই শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এলাকার নাম শহীদনগর রাখা উচিত। নাম পরিবর্তন বিষয়ে আগেও উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, বাস্তবায়ন হয়নি। তখন মেয়র মহোদয় বলেছেন, যদি আইনগত কোনো বাধা বিপত্তি না থাকে তাহলে প্রস্তাবনাটা স্থায়ী কমিটির মাধ্যমে যেন লিখিতভাবে পেশ করা হয়।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে লালখান বাজারের পরিবর্তে শহীদনগর নামকরণের জন্য কাউন্সিলরদের সর্বসম্মত প্রস্তাব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল চসিক। ওই সময় মেয়র ছিলেন প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। এর আগে ১৯৭৩ সালে লালখান বাজারের নাম পরিবর্তন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন মহিউদ্দীন চৌধুরী। ওই সময় বিভিন্ন দোকানপাটের সাইনবোর্ডে লালখান বাজার মুছে দিয়ে শহীদনগর লেখা হয়েছিল।
বিভিন্ন নথিপত্র থেকে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় লালখান বাজার এলাকায় দুই হাজারের বেশি মানুষ হত্যা করেছে হানাদার বাহিনী। ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ লালখান বাজার সংলগ্ন চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে আক্রমণ করে পাকিস্তানি বাহিনী। তখন প্রতিরোধ করে বাঙালি পুলিশ সদস্যরা। দুই পক্ষে তীব্র যুদ্ধ হয়। এতে ৫১ জন পুলিশ সদস্য শহীদ হন। তবে পাকিস্তানি বাহিনীর একজন মেজরসহ সাতজন মারা যায়। পুলিশ লাইন দখলে নেয়ার পর হানাদার বাহিনী ধারণা করে, লালখান বাজারের স্থানীয় লোকজন বাঙালি পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতা করেছে। এর রেশ ধরে পরবর্তীতে লালখান বাজারে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায় হানাদাররা।