জেমস আব্দুর রহিম রানা যশোর প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ প্রশাসনের কড়া নজরদারির মধ্যে বুধবার যশোর সদরের ১৫ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। সকালের কুয়াশা উপেক্ষা করে ভোট শুরুর আগেই কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে লাইনে দাঁড়ান নারী ও পুরুষ। কোন কোন কেন্দ্রে এ লাইন ছিল দুপুর অবধি। দুপুরের পরে কেন্দ্রে কিছুটা ভিড় কমলেও নির্দিষ্ট সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে ভোটাররা ভোট প্রদান করেন। ভোট গ্রহণ শেষে শুরু হয় গণনা। এরপর বেসরকারিভাবে ফলাফল জানানো হয়। উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টি আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক (একটিতে আগেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায়) ও ৫টিতে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী হৈবতপুর ইউনিয়নে আবু সিদ্দিক (আওয়ামী লীগ), লেবুতলা ইউনিয়নে আলিমুজ্জামান মিলন (আওয়ামী লীগ, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী), ইছালীতে ফেরদৌসী ইয়াসমিন (আওয়ামী লীগ), নওয়াপাড়ায় হুমায়ুন কবীর তুহিন (স্বতন্ত্র), উপশহর ইউনিয়নে এহসানুর রহমান লিটু (আওয়ামী লীগ), কাশিমপুরে শরিফুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), চুড়ামনকাটিতে দাউদ হোসেন (আওয়ামী লীগ), দেয়াড়া ইউপিতে আনিসুর রহমান (স্বতন্ত্র), আরবপুর ইউনিয়নে মীর আরশাদ আলী রহমান (আওয়ামী লীগ), চাঁচড়া ইউপিতে শামীম রেজা (স্বতন্ত্র), রামনগর ইউপিতে মাহমুদুল হাসান লাইফ (স্বতন্ত্র), ফতেপুর ইউপিতে সোহরাব হোসেন (আওয়ামী লীগ), নরেন্দ্রপুর ইউপিতে রাজু আহমেদ (স্বতন্ত্র), কচুয়া ইউপিতে লুৎফর রহমান ধাবক (আওয়ামী লীগ), বসুন্দিয়া ইউপিতে রিয়াজুল ইসলাম খান রাসেল (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী হয়েছেন।কচুয়া ইউনিয়নে ৫ হাজার ৯৮১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী লুৎফর রহমান ধাবক, তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৩৩ ভোট, চশমা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর রশীদ এক হাজার ৭৩৩ ভোট, ঘোড়া প্রতীকের কাজী হাফিজুর রহমান ১ হাজার ২৭৪ ভোট, হাত পাখা প্রতীকের বাবুল হুসাইন পেয়েছেন ১ হাজার ১০১ ভোট, আনারস প্রতীকের হাফিজুর রহমান খান ৬৩৩ ভোট, অটোরিকশা প্রতীকের মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ২৫৯ ভোট।নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নে ১১ হাজার ৯৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী রাজু আহমেদ। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জাকির হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৭২৪ ভোট, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোদাচ্ছের আলী পেয়েছেন ২ হাজার ৭৫০, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী হোসেন মো, ফেরদাউস আলম ৫৯১, হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ওলিয়ার হোসেন ২০৮ ভোট।আরবপুর ইউনিয়নে ৮ হাজার ৯৬৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মীর আরশাদ আলী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেলের প্রার্থী খোন্দকার ফারুক হোসেন ২ হাজার ৮১৪ ভোট, চশমা প্রতীকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান ২ হাজার ৪৯২, টেবিল ফ্যান প্রতীকের প্রার্থী কাজী কাসেম ২ হাজার ৪৫, হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুর রহমান ২ হাজার ২৩, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নুরুল ইসলাম ১ হাজার ৩৪৮ ভোট, আনারস প্রতীকের প্রার্থী সামসুর রহমান ৬০৮ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকের গাজী রফিকুল ইসলাম ৯০ ভোট।রামনগর ইউনিয়ন পরিষদে ৫ হাজার ৮৯৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান লাইফ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাজনীন নাহার পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৬৭, আনারস প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হক ৫ হাজার ৩৭, চশমা প্রতীকের প্রার্থী আ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ২ হাজার ৫২৯, হাতপাখা প্রতীকের আব্দুর ছাত্তার তরফদার ২ হাজার ২৭৪, অটোরিকশা প্রতীকের জুলেখা বেগম ৬০, ঘোড়া প্রতীকের কামরুজ্জামান ৫৩, টেলিফোন প্রতীকের কামরুজ্জামান পেয়েছেন ২৭ ভোট।দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদে ৯ হাজার ৪৯৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী আনিচুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী লিয়াকত আলী পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪৩ ভোট, মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মাসুদ রানা ৩ হাজার ৫৯৫, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী জিয়াউল হক ২ হাজার ৬৬৩ ভোট, হাত পাখা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল্লাহ হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৯৩ ভোট।চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদে ১১ হাজার ৪৯২ ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দাউদ হোসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মান্নান মুন্না ৫ হাজার ১১১, চশমা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম মোস্তফা ২ হাজার ৬১৮, হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী আব্বাস উদ্দিন ১ হাজার ৭৯২, টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী আলমগীর কবীর ৪৭৭, মোটরসাইকেল প্রতীকের বাদশা ৩২৪, জাকের পার্টির গোলাপ প্রতীকের প্রার্থী মতিয়ার রহমান ১৭০ ভোট, অটোরিকশা প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ৮১ ভোট।হৈবতপুর ইউনিয়ন পরিষদে ১০ হাজার ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু সিদ্দিক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখার সোহরাব হোসেনের ৩ হাজার ৩৭৫, মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী হরেন কুমার বিশ্বাস ৩ হাজার ১৬৭ ভোট, আনারস প্রতীকের আহম্মদ আলী পেয়েছেন ১ হাজার ৮৫৪ ভোট।বসুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদে ১১ হাজার ৫৯১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম খান রাসেল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী তুহিন খান পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৬৮। ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী এস কে মমিনুল ইসলাম আমিনুল ১৭৪, মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী নুরুজ্জামান খান ১৫৬, আনারস প্রতীকের প্রার্থী শেখ শাহাবুদ্দিন ৭৮ ভোট।চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ১৪ হাজার ৩১১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন শামীম রেজা। তার নিকটতম প্রার্থী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিস রেজা পান্নু ৯ হাজার ১৯৮ ভোট, হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী শামছুর রহমান ১ হাজার ৬৩৭ ভোট, মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৭৯ ভোট। উপশহর ইউনিয়নে ৫ হাজার দুইশ ৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের এহসানুর রহমান লিটু। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শওকত হোসেন রতœ আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন এক হাজার আটশ ৯৪ ভোট।নওয়াপাড়া ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীকে ৮ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন হুমায়ুন কবীর তুহিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলতাফ হোসেন পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৮৩, নৌকার রাজিয়া সুলতানা ৪ হাজার ৫৮৪, ঘোড়া প্রতীকের আলমগীর হোসেন ৩ হাজার ৪৩, চশমার আসাদুল আলম ঝন্টু ২ হাজার ৮২৭ ও হাতপাখার মোশাররফ হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ২০১ ভোট।কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদে ১১ হাজার ৮১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শরিফুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আইয়ুব হোসেন পেয়েছেন ৬ হাজার ২০২ ভোট, হাতপাখার প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান ৩ হাজার ১৫৯ ভোট, আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা এনামুল বারী ৬৪২ ভোট ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বিএম সাইফুল ইসলাম ১০১ ভোট পেয়েছেন।ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদে ৮ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ সোহরাব হোসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার ৬ হাজার ২৭২ ভোট, হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ওসমানি গণি ৬ হাজার ৪১ ভোট, টেবিল ফ্যান প্রতীকের প্রার্থী রবিউল ইসলাম ৩ হাজার ৫৫৬ ভোট, মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আলমগীর হোসেন ৪৫৬ ভোট, আনারস প্রতীকের প্রার্থী শিল্পী খাতুন পেয়েছেন ২৮ ভোট।ইছালী ইউনিয়ন পরিষদে ৪ হাজার ৯৮২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফেরদৌসি ইয়াসমিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আইয়ুব হোসেন ৩ হাজার ৬৮৭ ভোট, হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ২ হাজার ৩০১ ভোট, চশমা প্রতীকের প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম ১ হাজার ৫৯২ ভোট, আনারস প্রতীকের প্রার্থী আজিজুর রহমান ১ হাজার ৪০৮ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী সাইফুর রহমান ১০৫ ভোট ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ৬৩ ভোট পেয়েছেন।