শৈলকূপা ঝিনাইদহ প্রতিনিধি –
ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলায় যৌতুকের দাবীকৃত টাকা না পেয়ে খাদিজা খাতুন (১৯) নামে এক গৃহ বধুকে নির্যাতন পূর্বক ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে ঐ গৃহ বধু দাবী করেছেন।পরে জীবন বাঁচাতে সুযোগ মত ঐ ঘরের জানালা ভেঙ্গে তিনি তার বাবার বাড়িতে পালিয়ে আসেন। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নির্যাতিতা ঐ গৃহ বধু এমনটিই বিবরণ দিয়ে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ২৫ শে অক্টোবর ঐ গৃহ বধুর স্বামী সোহেল রানা (২৪) তার নিজ বাড়িতে টাইলস’র কাজ করাবে বলে স্ত্রী খাদিজাকে বাবার বাড়ী থেকে টাকা আনতে বলে। সে টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে বেপক আকারে মারপিট করে ঘরের মধ্যে দরজা বন্ধ করে রাখা হয়। ঘরের জানালার কাজ কমপ্লিট না থাকায় সুযোগ মত কৌশলে জানালা দিয়ে বের হয়ে আহত অবস্থায় কোনমতে প্রান নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন তিনি।মেয়ের এই করুন অবস্থা দেখে তাৎক্ষনিক তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন বাবা ইসমাইল বিশ্বাস।পূর্বেও কারনে অকারনে তার উপর শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবী করেন খদিজার বাবা।
খাদিজার ভাষ্যমতে প্রায় বছর খানেকের বেশি হলো তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেম ভালো বাসার সম্পর্ক হলেও তাদের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাদের মাঝে অশান্তি বাসা বাঁধে।এরপর তাকে সংসারে কাজের চাপ বাড়িয়ে দেওয়া হয়।এতেও তৃপ্তি না হলে মারধর করা হয়।কয়েক দফা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে এবং ঐ বাড়িতে আর থাকবে না বলে নিজেই বাবাব্র বাড়িতে চলে আসেন খদিজা।
তখন মেয়ের সুখের কথা ভেবে ও সংসারে অশান্তি লাঘব করতে অভাবের সংসার থেকে অতি কষ্টে টাকা জোগাড় করে জামাইকে দিতে বাধ্য হয়েছে খাদিজার বাবা। কিন্তু এভাবে আর কতদিন টাকা দিয়ে মেয়েকে তার স্বামীর সংসার করানো যায়। তাছাড়া মেয়ের উপর এবারের বর্বরতা যেন একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। তাই সন্ত্রাসী জামায়ের হাত থেকে মেয়েকে বাঁচাতে পরিত্রাণের পথ খুজছেন।
খদিজা উপজেলার নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের সাহবাজপুর গ্রামের মোঃ ইসমাইল বিশ্বাসের মেয়ে। অন্যদিকে স্বামী সোহেল রানা একই ইউনিয়নের বাগুটিয়া গ্রামের মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মধু’র ছেলে।
এ বিষয়ে খাদিজার স্বামী সোহেল রানার সাথে মুঠো ফোনে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করে ফোন দাতার পরিচয় জানতে চায়।ফোন দাতা পরিচয় দেওয়ার পর ব্যস্ততা দেখিয়ে উত্তর দেওয়া থেকে এড়িয়ে যান তিনি।