দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ২০ শতাংশই দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত।
আজ মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) জিনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক (সুপারভাইজার) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন।
কেভিড-১৯ এর জিনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার উদ্দেশ্য কেভিড-১৯ এর জিনোম চরিত্র উন্মোচন, মিউটেশনের ধরন এবং বৈশ্বিক কোভিড-১৯ ভাইরাসের জিনোমের সঙ্গে এর আন্তঃসম্পর্ক বের করা এবং বাংলাদেশি কোভিড-১৯ জিনোমের ডাটাবেজ তৈরি করা।
তিনি বলেন, এ প্রতিবেদন বিএসএমএমইউ-এর চলমান গবেষণার ৬ (ছয়) মাস ১৫ (পনের) দিনের ফল, আমরা আশা করি পরবর্তী সপ্তাহগুলোয় হালনাগাদ করা ফল জানাতে পারব।
২৯ জুন ২০২১ থেকে ৮ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত দেশব্যাপী কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের ওপর এ গবেষণা পরিচালিত হয়।
গবেষণায় দেশের সব বিভাগের প্রতিনিধিদের স্যাম্পলিং করা হয়। গবেষণায় মোট ৭৬৯ কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর স্যাম্পল থেকে নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়।
বিএসএমএমইউর গবেষণায় ৯ মাস থেকে শুরু করে ৯০ বছর বয়স পর্যন্ত রোগী অন্তর্ভুক্ত ছিল। এতে ২১ থেকে ৫৮ বছর বয়সের রোগীর সংখ্যা বেশি। যেহেতু কোনো বয়সসীমাকেই কোভিড ১৯-এর জন্য ইমিউন করছে না, সে হিসেবে শিশুদের মধ্যেও কোভিড সংক্রমণ রয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়, কোভিড আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাদের কো-মরবিডিটি রয়েছে যেমন- ক্যানসার, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস তাদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি পেয়েছিলাম। পাশাপাশি ষাটোর্ধ্ব বয়সের রোগীদের দ্বিতীয়বার সংক্রমণ হলে সেক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।