প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের দরবারে মর্যাদা পেয়েছে। এ মর্যাদা ধরে রাখতে হবে।২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চাই। ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করব। আমার একটাই আবেদন নতুন অফিসারদের কাছে, উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক হিসেবে কাজ করতে হবে। দেশকে ভালোবাসতে হবে। সব সময় মাথা উঁচু করে চলতে হবে এবং দেশের মানুষের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ হতে হবে।
আজ বুধবার (১৯ জানুয়ারি) ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) স্নাতক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কোর্সে আপনারা সামরিক জ্ঞান ও জাতীয়-আন্তর্জাতিক উচ্চতর জ্ঞান লাভ করেছেন। এ জ্ঞান আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন ও যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হবে। আমি চাই, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হবে। এ জন্য পদবি পরিবর্তন করা থেকে শুরু করে অনেক কাজ করে দিয়েছি। যাতে প্রতিটি সদস্য সমানতালে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলতে পারে।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আজকে সত্যিই জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কারণ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘একদিন বিদেশি বন্ধুরা আমাদের একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিতে আসবে।’ আজ তাই হয়েছে। আমাদের ডিএসসিএসসি আন্তর্জাতিকভাবে এক অনন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এখানকার বিদেশি প্রশিক্ষণার্থীরাই আমাদের শুভেচ্ছা দূত।
সরকারপ্রধান বলেন, এক সময় বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশে নেতিবাচক কথা ছিল। অবশ্য এখনো কিছু কিছু লোক আছে, যারা আমাদের দেশের বদনাম করতেই বেশি পছন্দ করে। কিন্তু আমাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ফলে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষা এবং দেশের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে আমরা যে দক্ষতা দেখিয়েছি, তাতে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সবসময় প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে। বাংলাদেশ কারো সাথে বৈরি সম্পর্কে বিশ্বাস করেনা। রোহিঙ্গাদের সাহায্য প্রদান করে তার উদাহরণ রেখেছে বাংলাদেশ। কারো সাথে যুদ্ধ নয়, তবে সার্বভৌমত্বে আঘাত এলে বাংলাদেশ চুপ করে থাকবে না।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের প্রতি তাগাদা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে আলোচনা অব্যাহত আছে।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে বর্তমান সরকারের ভূমিকা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সরকার গঠনের পর থেকেই একটি যুগপোযোগী সামরিক বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
দেশে করোনার নতুন ধরন ছাড়াচ্ছে জানিয়ে এ বিষয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবার প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।