২০২০ ও ২০২১ সালে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মোট ২৩০ জন সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) এর জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ শাখা-২ বৃহস্পতিবার ২০২০ সালের বিপিএম এবং পিপিএমের জন্য পুলিশ ও র্যাবের ১১৫ সদস্যকে মনোনীত করে একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, তাদের মধ্যে অসীম সাহসী ও বীরত্বপূর্ণ কর্মকান্ডের জন্য ১৫ জন বিপিএম এবং ২৫ জন পিপিএম পুরস্কার পাবেন।
এছাড়াও, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা এবং শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৫ জন কর্মী বিপিএম-সেবা এবং ৫০ জন পিপিএম-সেবা পুরস্কার পাবেন।
একই দিনে অপর একটি পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে, জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ শাখা-২ এছাড়াও ২০২১ সালে তাদের অসামান্য পারফরম্যান্সের জন্য মর্যাদাপূর্ণ বিপিএম এবং পিপিএম-এর জন্য আরও ১১৫ জন পুলিশ ও র্যাবের সদস্যকে মনোনীত করেছে।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৫ জন বিপিএম-বীরত্ব, ২৫ জন পিপিএম-বীরত্ব, ২৫ জন বিপিএম- সেবা এবং ৫০ জন পিপিএম- সেবা পুরস্কার পাবেন।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম-বীরত্ব এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আবদুল আহাদ বিপিএম-সেবা পুরস্কার-২০২১ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন।
আবদুল আহাদ তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এর আগে ২০১৬ সালে রাজধানীর হলি আর্টিসান ক্যাফেতে আইএস হামলার বিরুদ্ধে সাহসী অভিযানের জন্য প্রশংসিত হয়েছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পাশাপাশি পুলিশ প্রধান ও তার সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ পুলিশের একজন সদস্য হিসেবে তিনি ভবিষ্যতেও সর্বোচ্চ সততা ও আন্তরিকতার সাথে জাতির সেবা করার প্রয়াস চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।