নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার ২ নং রামনারায়নপুর ইউনিয়নের ছোবহানপুর গ্রামে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আপন ছোট ভাই ও ভাতিজার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ভাতিজা পিয়াস (১৭) কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী অবিলম্বে এই ষড়যন্ত্রমূলক মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, ছোহানপুর গ্রামের সাজুনি বাড়ির মৃত আবদুর রশিদের ছেলে আনোয়ারুল হকের সাথে তার বড় ভাই মমিনুল হকের সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ ও মামলা চলে আসছিল। সম্প্রতি সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মমিনুল হক তার মেয়েকে দিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা নাটক সাজিয়ে গত শনিবার চাটখিল থানায় ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
আনোয়ারুল হক অভিযোগ করে বলেন, তাকে ও তার ছেলেকে ফাঁসাতে তার ভাই মমিনুল হক নিজের মেয়েকে ভিকটিম বানিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার নাটক সাজান। উক্ত সাজানো মামলায় তার নিরাপরাধ ছেলে পিয়াস নোয়াখালী জেলা কারাগারে জেল খাটছে। তাছাড়া যাদের সাক্ষী দেয়া হয়েছে তারা ২০০৭ সালে তাকে, তার পরিবার ও তার শশুর বাড়ির লোকজনকে ধর্ষণ মামলা দিয়ে হয়রানি করে। মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সেই মামলা খারিজ করে দেয়। এইভাবে তার ভাই দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করে আসছে। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ কোন রকম তদন্ত ছাড়াই মামলা গ্রহণ করে তাদের হয়রানি করছে। তাই এ ব্যাপারে তিনি পুলিশ সুপার মহোদয়ের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
একই বাড়ির ফজলে আজম ও আমির হোসেনসহ অনেকে জানায়, দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে ঝগড়া-বিবাধ ও মামলা-মকদ্দমা চলে আসছিল। এরই জের ধরে সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পিয়াসকে ফাঁসানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ধর্ষণ বা ধর্ষণ চেষ্টা এ জাতীয় কোন ঘটনাই ঘটে নি। মমিনুল হক একজন মামলাবাজ। তাই মামলা সাজাতে এই নাটক করে।
মমিনুল হকের পাশের ঘরের ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের স্ত্রী ফাতেমা বেগম জানায়, তাদের ঘরের সাথে আমাদের ঘর। ধর্ষণ চেষ্টা বা মারামারির কোন ঘটনা ঘটলে সবার আগে আমরা বলতে পারতাম। এই রকম কোন ঘটনাই ঘটেনি। পিয়াস অত্যন্ত ভালো ছেলে। তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
এ বিষয়ে চাটখিল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মামলার আলোকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাটি আদালতে চলমান। তাই আদালতের মাধ্যমে তদন্তে প্রকৃত ঘটনার তথ্য বেরিয়ে আসবে।