বিধান মন্ডল ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরে হিন্দু যুব পরিষদের মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত। অদ্য ৬ই নভেম্বর ২০ইং রোজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা কুমিল্লার মুরাদ নগরে সাম্প্রদায়িক হামলা,সারাদেশে প্রতিমা ভাংচুর লুটপাট অগ্নিসংযোগ ও ধর্ম অবমানার অযুহাতে বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের প্রতিবাদে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবিতে বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদ ছাত্র পরিষদের আয়োজনে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে একটি বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদ ফরিদপুর জেলা শাখার সন্মানিত সভাপতি সুমন মন্ডল এর সভাপতিত্বে উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চক্রবর্তী (শান্ত), সাংগঠনিক সম্পাদক হৃদয় কুমার দাস, সহ-সভাপতি তরুণ পাল, আইন বিষয়ক সম্পাদক ননী গোপাল বিশ্বাস, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কুশল বাইন, সদরপুর উপজেলার সভাপতি পবিত্র চক্রবর্তী, সালথা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বাড়ই, সাংগঠনিক সম্পাদক আকাশ সাহা, বোয়ালমারী উপজেলার সভাপতি অরূপ কুমার মিত্র, আলফাডাঙ্গা উপজেলার আহবায়ক চায়না রানী সাহা ও ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদ ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি সুমন মন্ডল বলেন,কুমিল্লার মুরাদ নগরে ধর্ম অবমাননার অযুহাতে দুজনকে গ্রেফতার করার পরেও কেন বাড়ি ঘরে আগুন, মা-বোনদের সেই স্মৃলতাহনি ও লুটপাট করা হলো। এদেশের হিন্দুরা নিজের দেশেই নিরাপদ নয়, সকালে অনলাইনে ফেসবুকের টাইমলাইন ওপেন করলে দেখা যায় হিন্দু নির্যাতনের পোস্ট। এদিকে বাংলাদেশের মিডিয়াগুলো চোখে কাপড় বেঁধে থাকে বয়কটের ভয়ে তারা হিন্দু বা সংখ্যালঘু নির্যাতন হলে নিউজ করে না। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে অতি শীঘ্রই সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবি জানান সেইসাথে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে অপরাধীদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তির নিশ্চিন্তে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চক্রবর্তী বলেন বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রের সংখ্যালঘুরা যেন নিরাপদ ভাবে বসবাস করতে পারে সেদিকে সরকারকে দৃঢ় দৃষ্টি রাখতে সবিনয় অনুরোধ জানান এবং সাম্প্রদায়িক হামলা লুটপাট এর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
অন্যান্য বক্তারা সরকার প্রশাসনকে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রেখে চলমান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন বন্ধ ও বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার মোতাবেক সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।