ফরিদপুর প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ ফরিদপুর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিঃ এর ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ ফয়েজ আহম্মেদের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, গ্রাহকের আমানত ফেরত না দেওয়া ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১১.০০ টায় শহরের ঝিলটুলি রশিদ টাওয়ারে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফরিদপুর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ লুৎফর রহমান। তিনি তার লিখিত বক্তব্য বলেন গত ১২ই ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখে ব্যাংক থেকে আমাকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। সে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে আমাকে ফরিদপুর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংক এর ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন কি কারনে এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা এবং আমাকে কেউই কিছুই জানায়নি। আমার স্থানে নতুন করে বেআইনি ভাবে অন্য এক জনকে সহ-সভাপতি পদায়ন করা হয়েছে যা সমবায় আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি। তিনি আরো বলেন, ফরিদপুর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংক কোন তফসিলী ব্যাংক নয়। কিন্তু শেখ ফয়েজ আহমেদ তফসিলি ব্যাংকের মত এই ব্যাংকে সাধারন মানুষের নিকট থেকে অতিরিক্ত মুনাফা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে আমানত/এফডিআর নিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এই ব্যাংক শুধুমাত্র প্রাথমিক সমবায় সমিতির নিকট থেকে আমানত নিতে পারবে ও তাদেরকে ঋণ প্রদান করিতে পারবে। কিন্তু শেখ ফয়েজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারন মানুষকে সদস্য করে এফডিআর/আমানত নিয়েছেন। কোন নিয়ম না মেনে তার নিজের ইচ্ছামত কাজ করে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি করছে। ব্যাংকের লক্ষ কোটি টাকার কোন হদিস নাই বলে জানান তিনি। ব্যাংকের কোন সদস্য বা সাধারন মানুষের ব্যাংকে রাখা টাকা বা আমানত চাইতে গেলে নানা টাল বাহানা করে ঘুরাতে থাকে। এমকি তাদেরকে নানা রকম হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে। ইতি মধ্যে কয়েকজন গ্রাহক আমানতের টাকা ফেরত না পেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অবিযোগ দিয়েছে। শেখ ফয়েজ বর্তমানে ব্যাংকের কোন পদে না থাকলেও ব্যাংকের যাবতীয় কাজ তার নির্দেশনা অনুযায়ী হয়। এখনও পর্যন্ত ব্যাংকের হিসাব/একাউন্ট শেখ ফয়েজ আহম্মেদের নামে রয়েছে। দুই বছর হলো নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি এখন পর্যন্ত নতুন কমিটির নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করেন নাই। নতুন কমিটি এক জাইগায় বসে একটি মিটিংও করেনি। তিনি এই ব্যাংকটিকে তার ব্যাক্তিগত প্রতিষ্ঠান মনে করছেন। এই ব্যাংকের টাকায় তিনি গাড়ি, গাড়ির তেল এমনকি বাড়ির বাজার পর্যন্ত করেন। ব্যাংক ভবনের দোকানের বাড়া দুই রকম চুক্তিবদ্ধ করে অতিরিক্ত ভাড়া গ্রহন করে। যা ব্যাংকের হিসাবে জমা না হয়ে তার নিজের একাউন্টে জমা করে অর্থ আত্বসাত করছে। তিনি প্রশাসনের নিকট এই লোকের হাত থেকে ব্যাংকটি রক্ষা করে গ্রাহকের আমানক যাতে ফেরত পাই তার ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।
১৩ views