চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় সাধু বাবা সেজে একই পরিবারের ৩ জনকে নেশা জাতীয় দ্রব্য দিয়ে অচেতন করে স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনা ঘটেছে। ৪ নভেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে ওই উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের শীল বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অচেতন হওয়া ব্যক্তিদের ওইদিন ভোর রাতেই স্বজনরা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। এরা হলেন, দুর্গাপুর গ্রামের শীল বাড়ির খোকন শীল (৪৫), তার স্ত্রী ঝর্ণা শীল (৩৪) ও ছেলে মিঠুন শীল (২০)। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত তাদের কারোরই জ্ঞান না ফিরায় তাদের অবস্থা আশংকা জনক বলে জানা গেছে। এবং উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
অচেতন খোকন শীলের বদি বাসনা শীল ও অন্যান্য স্বজনরা জানায়, গত ২/৩ দিন ধরে একজন বৃদ্ধ লোক মুখে দাড়ি সহ শুধুমাত্র গামছা পরিহিত লোকনাথের বেশে সাধু বাবা সেজে ঘুরাঘুরি করছিলো। ঘটনার দিন রাতে ওই ব্যক্তি খোকন শীলের ঘরে যান এবং তাদের পরিবারের উন্নতির জন্য ঝাড়ফোঁক ও জলপড়া দেন। রাতে খাওয়ার কথা বললে তিনি কিছুই খাননি। পরে তাকে রাতে ওই ঘরে থাকতে দেয়া হয়। রাত ৪ টার দিকে বাসনা রাণী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে বাহিরে বের হলে দেখেন তার দেবর খোকন শীলের ঘরের দরজা খোলা এবং তিনি তাদেরকে ডাকতে, ডাকতে ঘরে ঢুকে দেখেন তারা সবাই অজ্ঞান হয়ে আছেন। ঘরের স্টিলের আলমিরা, কম্বল সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র এলোমেলো ভাবে রয়েছে। সাধু বাবাও ঘরে নেই। পরে তিনি ডাক চিৎকার করলে বাড়ির অন্যান্য লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। পরে বুঝতে পারেন ঝর্না শীলের কানের দুল, নাক ফুল নেই। তবে তারা জানান, ঘরের অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি হয়েছে কিনা তারা তা এখনো বুঝে উঠতে পারছেনা।