সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমি চেষ্টা করব যাতে খুব জলদি এটার ব্যবস্থা নিতে পারি।’
আজ রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মহামান্য আদালত র্যাবকে দায়িত্ব দিয়েছে। র্যাব এটা নিয়ে কাজ করছে, আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। আমরা আশা করি খুব শিগগিরই ঘটনাটা কী ঘটেছিল, কে কে দায়ী ছিল এগুলো আমরা বের করতে পারবো। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’
তিনি বলেন, ‘এটা আমার নির্বাচনী এলাকাতেই হয়েছিল। আমিও দৌড়ে গিয়েছিলাম। আমিও মনে করি এটা যথেষ্ট দেরি হয়েছে। এটা আমি চেষ্টা করবো যাতে খুব জলদি এটার ব্যবস্থা নিতে পারি।’
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন। এই হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন।
সে সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তারা বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে সাড়ে ৮৭ হাজার ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এত সময়ে মামলার বিচারই শুরু করা যায়নি। যদিও এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে বিভিন্ন সময় রাজপথে আন্দোলন করেছেন তাদের সহকর্মীরা।