নজরুল ইসলাম,স্টাফ রিপোর্টার : আজ ১৪ ফাল্গুন মাস।শিমুল ফুলের লাল পাপড়ি মেলে সৌন্দর্য বিলাচ্ছে। দূর থেকে হঠাৎ দেখলে মনে হয় কেহ লাল গালিচা বিছিয়ে রেখেছেন। গাছজুড়ে টকটকে লাল শিমুল ফুল।সুবাস না থাকলেও সৌন্দর্যে মুগ্ধ সবাই। গাছগুলোতে পাখপাখালি আর মৌমাছিদের আনাগোনা চোখে পড়ার মত। তবে এ অপরূপ সাজ সজ্জিত শিমুল গাছ ও ফুল প্রায় বিলুপ্তির পথে।
ফাল্গুনের গুরুতে গাছে সীমিত আকারে ফুল ফুটে। ফাগুনের আগুন মানেই যেন শিমুল ফুল। ডালে ডালে লাল আগুন ছড়িয়েই জানান দেয় বসন্তের আগমন। নিঃসঙ্গ পথের পাশে শিমুলের গাছ যেন অনন্য সৌন্দর্য। যুগে যুগে শিমুল ফুল নিয়ে গান, গল্প, কবিতা লিখেছেন অনেক সাহিত্যিক।
বাংলাদেশে এমন কোনো অঞ্চল নেই যেখানে শিমুল নেই। প্রকৃতির যতদুর নজর পড়ে শিমুল গাছের দিকে তাকালে মনে হবে লাল গালিচা বিছানো। যে দৃশ্য চোখে পড়লে মুগ্ধ হতে বাধ্য সবাই। তবে কালের আবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ এই ঐতিহ্য। প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো শিমুল গাছ থেকে প্রাপ্ত তুলা দিয়ে লেপ-তোষক ও বালিশ বানানো হয়। এগুলো ব্যবহার যেমন আরামদায়ক তেমন স্বাস্থ্যসম্মত। শিমুল গাছ সংরক্ষণে সরকারিভাবে কোনো কার্যক্রম নেই। জনসচেতনতার অভাবে ক্রমেই হারিয়েই যাচ্ছে শিমুল গাছ।
তবে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন, নির্বিচারে শিমুলগাছ নিধন ও চারা রোপণ না করার কারণে শিমুল গাছ বিলুপ্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারি নজরদারি বাড়ানো দরকার।